Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

মহাসচিবের শূন্যতা বিএনপিতে কতটা

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
[publishpress_authors_box]

চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে দলের কার্যক্রমে সরাসরি পায় না বিএনপি। তা নিয়ে হতাশার মধ্যে এখন যুক্ত হয়েছে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অনুপস্থিতি।

তিন মাসের বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন ফখরুল। তার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটি কে পালন করছেন, তাও স্পষ্ট নয়।

গত অক্টোবরে ফখরুল গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে সব সংবাদ সম্মেলন করছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান।

অন্যদিকে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে আসছেন নানা বক্তব্য নিয়ে।

ভারতে অবস্থানরত স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মঈন খান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “মহাসচিবের পদে এখনও কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। আর কাউকে দেওয়া হয়েছে কি না, সে নিয়ে আমার কাছে কোনও তথ্য নেই।”

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “একটি দল একজনের জন্য থেমে থাকে না। দল তার গতিতে থাকবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেবে।”

২০১৮ সালে খালেদা জিয়া দণ্ড নিয়ে কারাগারে যাওয়ার পর লন্ডনে থাকা জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে বিএনপি।

খালেদা জিয়া পরে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে এখন বাড়িতে থাকলেও রাজনৈতিক কার্যক্রমে তার অংশগ্রহণের সুযোগ নেই বলে সরকারের তরফে বলা হচ্ছে। দণ্ড মাথায় নিয়ে বিদেশে থাকা তারেকেরও দেশে ফেরার কোনও ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না।

বিএনপির তৃণমূল পর্যন্ত নেতারা মনে করছেন, দল সুসংগঠিত নয় বলেই রাজনৈতিক দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে।

তারা বলছেন, ফখরুল মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত কাউকে মহাসচিবের দায়িত্ব দিয়ে সাংগঠনিক কাজ গতিশীল করা যেতে পারে। আর মহাসচিবের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনও জোরদার করা দরকার।

তালাবদ্ধ বিএনপি কার্যালয়
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গ্রেপ্তার হওয়ার মধ্যে দুই মাস তালাবদ্ধ ছিল বিএনপির কার্যালয় ।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর এবার জোরদার আন্দোলনের পথে হাঁটছে না দেড় যুগ ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি।

জনসংযোগের মতো কর্মসূচি দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করার লক্ষ্য তাদের। তাতে সফল হতেও মহাসচিবের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কাউকে দেওয়া দরকার বলে তৃণমূল নেতাদের ভাষ্য।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিবের এখন মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করার কথা। সেই হিসাবে রিজভীর নাম আগে আসবে। তবে তারেক রহমান চাইলে যে কাউকেই মহাসচিব করার এখতিয়ার রাখেন, এমনটাও বলছেন দলটির নেতারা।

নানা বিষয়ে ফখরুল ও রিজভীর দ্বন্দ্ব মাঝে-মধ্যেই প্রকাশ্য হয়েছিল বিভিন্ন সময়। দেখা গেছে, একই বিষয় নিয়ে গুলশানে সংবাদ সম্মেলন করতেন ফখরুল, আবার নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলন করতেন রিজভী।

এক অনুষ্ঠানে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এক সময় ছাত্রদল করতেন বলার পর ছাত্রদলের এক নেতা প্রতিবাদ করলে বিব্রত হয়েছিলেন ফখরুল।

তারপর তিনি সেই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিলেও রিজভীর হস্তক্ষেপে সেই শাস্তি এখনও কার্যকর হয়নি।

আবার গত বছরের ২২ জুন ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদকের শূন্য পদে উত্তরের সহ সভাপতি আবদুল আলীকে বসিয়েছিলেন রিজভী। তা আবার ফখরুল জানতেন না।

কিছুদিন আগে জাসাসের কমিটি গঠনও রিজভী একক উদ্যোগে করেন বলে সমালোচনা ওঠে।

বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন, মহাসচিব হওয়ার প্রবল ইচ্ছা থেকেই বর্তমান মহাসচিবকে নিষ্ক্রিয় প্রমাণ করতে অনেক কাজ রিজভী নিজ দায়িত্বে করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, মির্জা ফখরুল ও রিজভীকে পৃথকভাবে নির্দেশনা দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এ দ্বন্দ্বে পরোক্ষভাবে তারও ভূমিকা রয়েছে।

ওই নেতা আরও বলেন, “বিএনপিতে এখন এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে যে স্থায়ী কমিটির নেতা হয়েও সবাইকে মির্জা ফখরুল কিংবা রিজভী সাহেবকে মেইনটেইন করে চলতে হয়। এর চাইতে বড় বিশৃঙ্খলা আর কী হতে পারে?”

খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন (প্রয়াত) মারা যাওয়ার পর তৎকালীন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করা হয়েছিল। পরে কাউন্সিলে তিনি মহাসচিব হন।

রিজভী নিজে পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব হতে চাইছেন বলে কাউকে এখন ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে বিএনপির নেতাদের মুখ থেকে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিজভী সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “একটি দলে যেমন দলের প্রতি ভালোবাসা রাখা নেতারা থাকেন, আবার দলে থেকে অন্য শক্তির মাধ্যমে দিশেহারা নেতারাও থাকেন। যারা দলের মধ্যে ঝামেলা বাঁধাতে চান।”

মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হলে নেবেন কি না- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “দল এখন জনগণের স্বার্থে কাজ করছে। আর সেই স্বার্থের জন্য নানা পরিবর্তন আসতেই পারে। পরিবর্তনকে মেনে নিয়ে আমাদের সামনের দিকে আগাতে হবে।”

ফখরুলের বিরুদ্ধে শতাধিক মতো মামলা রয়েছে। ২০১৫ সালে গ্রেপ্তার হয়ে টানা ছয় মাস কারাগারে থাকতে হয়েছিল তাকে। দুই বছর আগে গ্রেপ্তার হলেও এক মাসের মধ্যে জামিনে ছাড়া পান তিনি।  

গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে।

মুক্তিতে পদক্ষেপ কী?

শুধু মহাসচিবই নন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সক্রিয় দুই সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন ও আসলাম চৌধুরীও গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে রয়েছেন।

গত বছরের ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাংচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হন মির্জা ফখরুল। এই মামলায় ১৬ আসামি জামিন পেলেও বিএনপি মহাসচিব এখনও জামিন পাননি।

এই রাজনীতিক এখন জামিনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দ্বারস্থ হবেন বলে সকাল সন্ধ্যাকে জানান তার আইনজীবী মো. সগীর হোসেন।

তিনি বলেন, “এই মামলায় তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া গত ১০ জানুয়ারি হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আমার মক্কেলের পক্ষে আবেদন করেছি।”

শীর্ষনেতাদের জন্য জোরাল আন্দোলনে নেই বিএনপি। নেতারা বলছেন, আইনি পথেই মুক্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তবে বিচারপ্রক্রিয়ায় সরকারের হস্তক্ষেপে তারা সুবিচার পাচ্ছেন না।

দলের নীতি-নির্ধারকদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “২৮ অক্টোবরে সমাবেশে আমাদের যে শক্ত অবস্থান ছিল, সেটা কিন্তু এখন আর নেই। তার পরদিনই মহাসচিব গ্রেপ্তার হন।

“এখন দল অনেকটাই বিশৃঙ্খল। কে কী সিদ্ধান্ত নেবে, কোন সমস্যায় কাকে জানানো হবে, সেখানেও ঘাটতি রয়েছে। আমি মনে করি, মহাসচিবকে মুক্ত করাটা আমাদের মূল দায়িত্ব এখন। নয়ত আরও যেসব হাজার হাজার নেতা কারাগারে রয়েছেন, কিংবা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে গা ঢাকা দিয়ে আছেন, সবার মনোবলের জায়গা নষ্ট হচ্ছে।”

নির্বাচনের পর বিএনপির কর্মসূচির ধরনে এসেছে পরিবর্তন।

আইনজীবীরা দিশেহারা

গত ২৯ অক্টোবর সকালে গুলশানে নিজের বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিব ফখরুলকে আটক করে ডিবি পুলিশ। রাতে তাকে আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয় রমনা থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে।

বিএনপির আইনজীবীরা জামিন চাইলেও বিচারিক আদালত সেদিন সেই আবেদন নাকচ করে ফখরুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত থেকে সেই রাতেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।

এরপর ২২ নভেম্বর ঢাকার জজ আদালতে জামিন চাওয়া হয়েছিল ফখরুলের জন্য। সেটাও নাকচ হয়ে যায়।

হাই কোর্টে যাওয়ার পর গত ৭ ডিসেম্বর ফখরুলের জামিন প্রশ্নে রুল হয়। তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।

রুল শুনানির দিন ধার্যের জন্য গত ১৭ ডিসেম্বর আদালতে আর্জি জানান ফখরুলের আইনজীবীরা। ৩ জানুয়ারি শুনানির কার্যতালিকায় আবেদন এলেও আদালত বর্জন কর্মসূচি চলায় তা পেছানোর আবেদন করেন বিএনপির আইনজীবীরা।

বিএনপির আইনজীবী কায়সার কামাল সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, এরপর গত ১০ জানুয়ারি বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নুরুদ্দিনের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুল খারিজ করে দেয় এবং কিছু পর্যবেক্ষণসহ জামিন আবেদনও খারিজ করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির আরেক আইনজীবী সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। যুক্তি খণ্ডনের পাশাপাশি আন্দোলনের পথও বেছে নিয়েছি। কিন্তু জামিন নাকচ করার বিষয়ে একটা মারপ্যাঁচে আমরা আটকে যাচ্ছি বারবার।”

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম আবদুর রাফেল বিএনপির মহাসচিবের জামিন প্রশ্নে সকাল সন্ধ্যাকে বলেনন, “তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। মির্জা ফখরুলের ডাকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হন, অনেকে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর করেন।

“দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি যার তাগিদে ফৌজদারি অপরাধের ঘটনা ঘটে, তিনি এর দায় এড়াতে পারেন না।”

বন্দি ফখরুল আছেন কেমন?

বিএনপি মহাসচিব ফখরুলের জন্মদিন কেটেছে এবার কারাগারেই। গত ২৬ জানুয়ারি তাকে ৭৭তম জন্মবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানাতে কারাগারে যান তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম, মেয়ে শাফারুহ মির্জা সুমি ও বোন নাজমা কালাম।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “মহাসচিবের জন্মদিনে প্রতিবছর প্রথম শুভেচ্ছা জানাতেন মেয়ে শাফারুহ মির্জা সুমি। এবার কারাগারে থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তার সঙ্গে দেখা করতে আমেরিকা থেকে এসেছেন বোন।

“সেদিন (২৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে মহাসচিবের স্ত্রী, মেয়ে ও বোন কারাগারে গিয়েছিলেন। তারা প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা তার সঙ্গে সময় কাটান। মহাসচিবের পছন্দের খাবার নিয়ে গিয়েছিলেন তারা, সঙ্গে একটি কেকও নিয়ে যান।”

রাহাত আরা বেগমের বরাত দিয়ে শায়রুল বলেন, “এমনিতে তিনি ভালোই আছেন। তবে বয়স হয়েছে, নানা রোগ বালাই রয়েছে।”

২০১৫ সালে কারাবন্দি অবস্থায় মির্জা ফখরুলের ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়েছিল। এর চিকিৎসার জন্য প্রতি বছরই তিনি সিঙ্গাপুরে যান। তার উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রয়েছে। মাঝে দুইবার তিনি কোভিডেও আক্রান্ত হন।

ছাত্রজীবনে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও লেখাপড়া শেষ করে কলেজ শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন ফখরুল।

১৯৮৬ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে বিএনপিতে সরাসরি যুক্ত হন তিনি। ১৯৮৮ সালে ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

১৯৯২ সালে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি, পরে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিবের পদে উঠে আসেন ফখরুল। তার আগে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতিও দায়িত্বও পালন করেন।

ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে দুবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ফখরুল ২০০১-০৬ মেয়াদের বিএনপি সরকারে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। ২০১৮ সালে বগুড়া থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও শপথ নেননি তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত