Beta
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫

মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের প্রবেশ নিয়ে প্রশ্ন গয়েশ্বরের

গয়েশ্বর
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
[publishpress_authors_box]

মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়ার বিষয়টি নতুন কোনও ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতে এটি সরকারের অপচেষ্টা কি না, সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

বুধবার দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব সন্দেহের কথা তুলে ধরেন বিএনপির এই নেতা।

গয়েশ্বর রায় বলেন, “একদিকে ভারতের সীমান্তে হত্যা অন্যদিকে মিয়ানমার সীমান্তে সৃষ্ট সংঘাতে বাংলাদেশ ক্রসফায়ারে। ব্যর্থতা দূরে রাখতে সরকার নিজেই বাইরের শক্তিকে ব্যবহার করে এই পরিস্থিতি তৈরি করছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।”

ক্ষমতায় থাকার জন্য বারবার আওয়ামী লীগ দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি এমন অসহনীয় থাকলে দেশের অর্থনৈতিক, কূটনৈতিকসহ সব খাতে বিপর্যয় হবে। এর দায় সরকারকে নিতে হবে।”

এসময় সাংবাদিকরা জানতে চান, বিএনপি আন্দোলন থেকে সরে এসেছে কি না?

জবাবে গয়েশ্বর রায় বলেন, “আন্দোলনের গতিবিধি এক থাকে না। বিভিন্ন সময় আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন হয়। বিএনপি আন্দোলন চলমান আছে, আন্দোলনের গতি প্রকৃতি শিগগিরই আরও স্পষ্ট হবে।”

শেখ হাসিনার সরকার গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন অভিযোগ করে এই নেতা বলেন, “এই সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।”

এসময় সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের পক্ষে-বিপক্ষের এই লড়াই, আজ কেবল আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির লড়াই নয়। এই লড়াই, জনবিদ্বেষী সরকারের সকল দোসরের সঙ্গে বাংলাদেশের সকল গণতন্ত্রকামী মানুষের লড়াই।”

বিএনপির ৫০ লাখের বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা দেওয়া হয়েছে দাবি করে গয়েশ্বর রায় বলেন, “কোন অপরাধে আমাদের ২ হাজার ৭০০ এরও বেশি নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে? কেন প্রায় ৭০০ নিরপরাধ মানুষকে গুম করা হয়েছে?

“গত ১৫ বছর ধরে, বিএনপির সঙ্গে জড়িত প্রতিটি ব্যক্তি ও পরিবারের উপর যে নৃশংস অত্যাচার-অবিচার হয়ে আসছে, দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমের অজস্র প্রতিবেদনে তা লিপিবদ্ধ। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শামিল হওয়ার অপরাধে, ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আপোস না করার অজুহাতে, বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মী তাদের নাগরিক জীবন থেকে বঞ্চিত। আমাদের প্রত্যেকে, প্রতিদিন, পুলিশি নিপীড়ন ও বিচার বিভাগের অবিচারের শিকার হচ্ছি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত