Beta
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫

ধ্বংসযজ্ঞে ছাত্র নয়, বিএনপি-জামায়াত ও ইউনূস গংরা জড়িত : নৌপ্রতিমন্ত্রী

হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে যে সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে তাতে ছাত্ররা নয়, বিএনপি-জামায়াতসহ স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় শনিবার পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, তারাই বলেছে এ হত্যাকাণ্ড, সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ এ লুটতরাজের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা খুব ক্লিয়ার এটার সঙ্গে সরাসরি জড়িত জামায়াত-বিএনপি এবং স্বাধীনতাবিরোধী ইউনূস (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) গংরা।

“জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এই গংরা জড়িত, যাদের লক্ষ্যই হচ্ছে বাংলাদেশ যে আত্মমর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে, সেটাকে নামিয়ে দেওয়া। শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগকে নয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এই গংদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে ধ্বংস করা।”

তিনি আরও বলেন, “আমেরিকার এক সময়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে বলার চেষ্টা করেছিল তলা বিহীন ঝুড়ি। এই জামায়াত-বিএনপি ও ইউনূস গংরা তারই ধারাবাহিকতায় কাজগুলো করে যাচ্ছে, বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি করতে যে কাজগুলো করা দরকার, এই অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ, লুটপাট– সেই কাজগুলো তারা করছে।”

এই ধ্বংসের চক্রান্ত শুধু এখনকার নয়, অনেক আগে থেকেই চলে আসছে মন্তব্য করে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, “শুধু এই গত কয়েকদিনের তাদের ধ্বংসযজ্ঞ না, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর মিউটিনি থেকে শুরু করে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করার সময় এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য পরিচালনা করতে গিয়ে তারা বাংলাদেশ জ্বালিয়েছে, এরপর বাংলাদেশের সাংবিধানিক ধারা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তারা বাংলাদেশ জ্বালিয়ে দিয়েছে।

“বাংলাদেশ যখন ’১৪ সালের মিলেনিয়াম গোল, দারিদ্র্যকে জয় করেছে, তখনও তারা ২০১৫ সালে বাংলাদেশকে জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং তারা যখন ’১৫ সালে ব্যর্থ হয়েছে সর্বশেষ তখন তারা ছাত্রদের ব্যবহার করা শুরু করেছে।”

নিরাপদ সড়কের দাবিতে ২০১৮ সালের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আপনারা জানেন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে এই স্বাধীনতা বিরোধীরা স্কুল ড্রেস বানিয়ে গায়ে দিয়ে ছাত্র সেজে সেদিন বাংলাদেশ জ্বালানোর চেষ্টা করেছে। ’১৮ সালে কোটাবিরোধী আন্দোলনে তারা একইভাবে বাংলাদেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সেদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে, সেই কোটা প্রথা বন্ধ করে দিয়েছিল।

“২০১৮ সালের সেই ঘটনা আবারও পুনরাবৃত্তি করে ছাত্রদের ব্যবহার করে বাংলাদেশকে পুড়িয়ে দেওয়ার, জ্বালিয়ে দেওয়ার, ধ্বংস করার এবং তলাবিহীন ঝুড়ি বানাবার মহাপরিকল্পনা তারা নিয়েছে।”

পরে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী পাশেই পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয় পরিদর্শনে যান। কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের পাশাপাশি পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়েও হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়। দুই কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় আহত হয় অন্তত ৫০ জন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত