Beta
সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতির দায়িত্ব বুঝে নিলেন বিএনপির খোকন

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নতুন সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নতুন সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
[publishpress_authors_box]

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এই দায়িত্ব বুঝে নেন। তবে সদস্য পদে বিজয়ী বিএনপিসমর্থিত তিন আইনজীবী দায়িত্ব গ্রহণ করেননি।

৬ ও ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতিসহ চারটি পদে জয় পায় বিএনপিসমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল।

অন্যদিকে সম্পাদকসহ ১০টি পদে বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগসমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ।

নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হামলা-মামলার ঘটনাও ঘটে। ৯ মার্চ ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের।

ঘোষিত ফলে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল থেকে সভাপতি পদে মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং সদস্য পদে সৈয়দ ফজলে এলাহী, ফাতিমা আক্তার ও মো. শফিকুল ইসলাম শফিক বিজয়ী হন।

সভাপতির দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিদায়ী সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।

২৭ মার্চ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী এবং মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল একটি চিঠি দিয়ে নির্বাচিতদের দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান।

এ নিয়ে বিএনপিসমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকে দায়িত্ব নেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিলেও নেতারা নির্বাচিতদের দায়িত্ব না নেওয়ার পক্ষে ছিলেন।

দায়িত্ব গ্রহণের আগে মতবিনিময় সভা করেন ব্যারিস্টার খোকন। এসময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে চিঠি দিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “ভোট বর্জন করতে দেখেছি, কিন্তু ভোট গণনা বর্জন করার নজির কোথাও দেখিনি।”

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিদ্ধান্তকে ‘হঠকারি’ উল্লেখ করে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, “ভোট গণনার সময় পাহারা দিলে আমরা ১২টার মতো পদে বিজয়ী হতে পারতাম।”

সদস্য পদে বিএনপির বিজয়ী তিন সদস্য সৈয়দ ফজলে এলাহী, ফাতিমা আক্তার ও মো. শফিকুল ইসলাম শফিক দায়িত্ব নিতে সাধারণ সভায় উপস্থিত হননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দ ফজলে এলাহী অভি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “দল থেকে দায়িত্ব না নিতে যে চিঠি দিয়েছে, আমরা সে সিদ্ধান্তের সঙ্গে আছি। এখনও দায়িত্ব নেইনি। দেখা যাক কী হয়।”

এদিন সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন ছাড়াও সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগ প্যানেল থেকে বিজয়ী ১০ আইনজীবী দায়িত্ব গ্রহণ করেন।   

তারা হলেন- সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক, সহসভাপতি রমজান আলী শিকদার ও দেওয়ান মো. আবু ওবাঈদ হোসেন সেতু, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল হুদা আনসারী, সহসম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির ও মোহাম্মদ হুমায়ন কবির।

এছাড়া সদস্য হিসেবে নির্বাচিত মো. বেলাল হোসেন শাহীন, খালেদ মোশাররফ রিপন, মো. রায়হান রনি ও রাশেদুল হক খোকনও দায়িত্ব বুঝে নেন।      

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত