Beta
সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪

বিএনপি নেতা শাহাদাতকে চট্টগ্রামের মেয়র ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন

বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন।
বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন।
[publishpress_authors_box]

আদালতের রায় ঘোষণার সাত দিন পর বিএনপির নেতা ডা. শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার রাতে নির্বাচন কমিশনের সচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। আদালতের নির্দেশে ইসি এই প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে।

সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি শিরোনামে প্রকাশ করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, “নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ও যুগ্ম জেলা জজ, ১ম আদালত, চট্টগ্রাম এ দায়েরকৃত নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল মামলা নং-০২/২০২১ এর ০১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখের আদেশে ২৭/০১/২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ‘নৌকা’ প্রতীক এর প্রার্থী ১নং বিবাদী জনাব মো. রেজাউল করিম চৌধুরী-কে নির্বাচিত ঘোষণা বাতিল করে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থী শাহাদাত হোসেন-কে নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করায় এতদ্বারা বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় ৩১ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে প্রকাশিত ১৭৮৭ নং পৃষ্ঠার ১নং কলামের ১নং ক্রমিকের বিপরীতে ২নং কলামে বর্ণিত ‘মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, পিতা-হারুন অর রশীদ চৌধুরী, ঠিকানা-৮১১/এ, বহুদ্দার বাড়ী, ডাকঘর-চান্দগাঁও ৪২১২, থানা-চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম’ এর পরিবর্তে ‘শাহাদাত হোসেন, পিতাঃ আহমদুর রহমান, ঠিকানাঃ রহমান ম্যানশান, ১১০/১১১ ডি. সি. রোড পশ্চিম বাকলিয়া, বাকলীয়া, চট্টগ্রাম’ এবং ৩নং কলামে বর্ণিত ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ এর পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বি,এন,পি’ শব্দ ও চিহ্নসমূহ প্রতিস্থাপন করা হলো।”

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী। শাহাদাত হোসেন পেয়েছিলেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট।

ভোটের এক মাস পর ২৪ ফেব্রুয়ারি কারচুপির অভিযোগ তুলে সেই ফলাফল বাতিল চেয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন শাহাদাত।

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত ১ অক্টোবর সেই মামলার রায় দেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীন। রায়ে ১০ দিনের মধ্যে শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণার গেজেট প্রকাশের নির্দেশও দেওয়া হয়।

সেই নির্দেশনা মেনেই মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন থেকে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হলো।

তবে এমন এক সময়ে এই প্রজ্ঞাপন এলো, যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সব মেয়র, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের বরখাস্ত করে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে।

ফলে মেয়র ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হলেও মেয়রের চেয়ারে ডা. শাহাদাত বসতে পারবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত