Beta
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫

শপথ নিলেন চট্টগ্রামের মেয়র শাহাদাত

রবিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে চসিক মেয়রের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়।
রবিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে চসিক মেয়রের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়।
[publishpress_authors_box]

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডা. শাহাদাত হোসেন। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

রবিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে চসিক মেয়রের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

চসিক মেয়রকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “ডা. শাহাদাত হোসেন বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশের একটি প্রধান নগরীর মেয়র হয়েছেন। ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবেন, এটাই তার কাছে আমাদের প্রত্যাশা। আমরা গ্রিন চট্টগ্রাম দেখতে চাই। জলাবদ্ধতামুক্ত চট্টগ্রাম দেখতে চাই। ক্লিন সিটি হিসেবে নগরবাসীরও একই প্রত্যাশা।

“আমরা মেয়র শাহাদাত হোসেনের কাছে পেছনের সব ধ্যান-ধারণা, চিন্তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ছাত্র-জনতা-শ্রমিকদের যে অর্জনের জন্য তাদের আত্মত্যাগ রয়েছে, সে প্রত্যাশা পূরণে বৈষম্যহীন শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় দেখতে চাই। এ প্রত্যাশা চট্টগ্রামের প্রতিটি নাগরিকের।”

শপথ নিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “চট্টগ্রাম বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচবে। যদি চট্টগ্রাম শহরের অবকাঠামোর উন্নয়ন করা যায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এ জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি—এসব আমার নির্বাচনী ইশতেহার। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করে যাব।”

অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার ও বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার আমলে ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি। সেই নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন রেজাউল। বিএনপি প্রার্থী করেছিল পেশায় চিকিৎসক শাহাদাতকে। তিনি তখন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন।

সেই নির্বাচনে রেজাউল ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। শাহাদাত পেয়েছিলেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট।

ওই ভোটের এক মাস পর ২৪ ফেব্রুয়ারি শাহাদাত কারচুপির অভিযোগ তুলে সেই ফলাফল বাতিল চেয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সংসদ বিলুপ্তির পর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিরাও বরখাস্ত হন।

গত ১৯ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউলকেও অপসারণ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। তারপর সিটি করপোরেশনে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম চালানোর জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামকে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।

তিন বছর আগে অনুষ্ঠিত ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে যে মামলা হয়েছিল তার রায়ে গত ১ অক্টোবর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও চট্টগ্রামের যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত মেয়র পদে শাহাদাত হোসেনকে নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করে। একইসঙ্গে পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের আদেশ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন সচিবালয় গেজেটে চসিক মেয়র হিসেবে শাহাদাত হোসেনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে সংশোধিত গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

সরকারি গেজেট প্রকাশিত হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সরকার মনোনীত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্বাচিত ব্যক্তির শপথ গ্রহণের বিধান রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত