প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার পৃথক দুই জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের তাদের জামিনের আদেশ দেন।
রমনা থানার এ মামলায় জামিন পাওয়ায় বিএনপির শীর্ষ এই দুই নেতার কারামুক্তিতে আর আইনি কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী। তবে কারা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের কাছে জামিনের কাগজ এখনও পৌঁছায়নি। তাই বুধবার তাদের মুক্তি মিলছে না।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর পল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশের দিন দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এরই এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয়। এ ঘটনার পর করা মামলায় বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল-আমীর খসরুসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার ১৬ আসামির আগেই জামিন হয়। মামলায় জামিন পেতে মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু এর আগে চারবার জামিন আবেদন করেন। পঞ্চম দফার আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বুধবার তাদের জামিন হয়েছে।
তাদের অন্যতম আইনজীবী মোসলেহ উদ্দীন জসিম সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে ১০ মামলায় আগেই তিনি জামিন পেয়েছেন। সর্বশেষ বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায়ও তার জামিন হলো।
“একই সময়ে আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মামলা হয় ১০টি। ৯ মামলায় তিনিও আগেই জামিন পেয়েছেন। সব মামলা জামিন হয়ে যাওয়ায় এখন তাদের মুক্তি পেতে আর কোনও বাধা নেই।”
তবে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার জানিয়েছেন, বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর সব জামিন মিললেও বুধবারই তাদের মুক্তি মিলছে না। কারণ জেল কর্তৃপক্ষ এখনও কোনও কাগজ পায়নি। বুধবারের মধ্যে কাগজ পাওয়ার সম্ভাবনা কম বলেও জানিয়েছেন তিনি।