Beta
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫

‘মিরাকল’র আশায় বিএনপি

তালাবদ্ধ বিএনপি কার্যালয়
অবরোধের মধ্যে বুধবারও ঢাকার নয়াপল্টনে তালাবদ্ধ ছিল বিএনপির কার্যালয় । ছবি: সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]
মূল বিষয়

বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, বিএনপির কর্মসূচি ততই নমনীয় হচ্ছে।

বিএনপির নেতারা আন্দোলনে সফলতার আশা করছেন, যদিও তারা নির্বাচন ঠেকাতে পারবেন না বলে মনে করেন।

নেতারা যা বলেন

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের লক্ষ্য পূরণের আশার কথা শোনালেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মধ্য সারির এক নেতা সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “নির্বাচন তো ঠেকানো যাচ্ছে না, এখন যদি কোনো মিরাকল (অলৌকিক) ঘটে, সেই আশায় থাকতে হচ্ছে।”

এই আন্দোলনে সফলতা আসবে কি- এই প্রশ্নে দলের স্থায়ী কমিটির এক সদস্য সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বিএনপি তো নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না, সরকার পুরো রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে নির্বাচন তুলে নিতেই পারে।

“রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় যখন একটি নির্বাচন হয়, তা ঠেকাতে জনগণই একমাত্র উপায়। আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা মাঠে, ঘাটে, গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে, তারা মানুষকে সাত তারিখের ভোটের নাটকে অংশ না নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করছে।”

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নওশাদ জমির সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংসপ্রাপ্ত হতে দেখে শংকিত ও আতঙ্কিত। যে কোনো গণতন্ত্রমনাই চাইবেন আমাদের দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হোক।”

তবে বিদেশ বিষয়ক কমিটির একজন সদস্য বলেন, “আমাদের কাজ আমাদেরকেই করতে হবে। নিজেদের শক্তি নিজেদেরকেই প্রকাশ করতে হবে।”

এআই’র চোখে

[কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বার্ড এই সংবাদটি কিভাবে দেখছে তা পড়ুন নিচে]

বিএনপির নির্বাচনী কর্মসূচি একটি বড় ধরনের ব্যর্থতা। বিএনপির লক্ষ্য ছিল সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের আয়োজন। কিন্তু তাদের কর্মসূচি সরকারের উপর কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি এবং জনগণের মধ্যেও ব্যাপক সমর্থন পায়নি। বিএনপির কর্মসূচির ব্যর্থতার কারণগুলি হল:
কর্মসূচির অস্পষ্টতা: বিএনপির কর্মসূচি ছিল অস্পষ্ট এবং জনগণের কাছে তা বোধগম্য ছিল না। বিএনপি কীভাবে সরকারের পদত্যাগ ঘটাবে এবং নির্দলীয় সরকার গঠন করবে তা তারা পরিষ্কার করে বলতে পারেনি।

কর্মসূচির ধারাবাহিকতার অভাব: বিএনপির কর্মসূচি ছিল ধারাবাহিক ছিল না। হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচির পর তারা মানববন্ধন এবং গণসংযোগের মতো নমনীয় কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর ফলে তাদের আন্দোলনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

আন্দোলনের নেতৃত্বের অভাব: বিএনপির আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল অস্থিরতা। দলের প্রধান নেতা খালেদা জিয়া কারাগারে রয়েছেন এবং তারেক রহমান বিদেশে অবস্থান করছেন। ফলে দলের মধ্যে নেতৃত্বের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। বিএনপির নির্বাচনী কর্মসূচির ব্যর্থতার ফলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির অবস্থান দুর্বল হয়েছে। এছাড়াও, বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থতা দেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি নেতিবাচক বার্তা।

আন্দোলনের নেতৃত্বের অভাব: বিএনপির আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল অস্থিরতা। দলের প্রধান নেতা খালেদা জিয়া কারাগারে রয়েছেন এবং তারেক রহমান বিদেশে অবস্থান করছেন। ফলে দলের মধ্যে নেতৃত্বের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। বিএনপির নির্বাচনী কর্মসূচির ব্যর্থতার ফলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির অবস্থান দুর্বল হয়েছে। এছাড়াও, বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থতা দেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি নেতিবাচক বার্তা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত