কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরে গোসলে নেমে স্রোতের টানে ভেসে যাওয়া মাদ্রাসা পড়ুয়া আরও দুই শিশু শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
তারা হলো– টেকনাফ সদর ইউনিয়নের খুনকার পাড়ার মো. নজির আহমদের ছেলে নজরুল ইসলাম (১২) এবং একই এলাকার কোরবান আলীর ছেলে ইমরান হোসেন ওরফে বাবুল (১৩)।
সাগরে তলিয়ে যাওয়ার প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল লম্বরীঘাট এলাকায় সৈকত থেকে মৃতদেহ দুইটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
এর আগে এ ঘটনার পরপরই একই এলাকার আবুল কালামের ছেলে নুর কামালের (১০) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
তারা তিনজনই টেকনাফ সদর ইউনিয়নের খুনকার পাড়াস্থ আশরাফিয়া দারুল নাজাত হিফজখানার শিক্ষার্থী ছিল।
রবিবার দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফ সদরে বিচ পয়েন্ট এলাকার ১০/১৫ জন শিশু মিলে খেলতে যায়। খেলাধুলার এক পর্যায়ে তারা সাগরে গোসলে নামে। এ সময় স্রোতের টানে ভেসে যায় তিন শিশু।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্য শিশুদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে এক শিশুকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করলেও নিখোঁজ ছিল দুইজন।
ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় জেলেরা নিখোঁজদের সন্ধানে সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যার পর অন্ধকারের কারণে অভিযান চালানো সম্ভব না হলেও স্বজনরা সন্ধান কাজ অব্যাহত রাখে।
স্বজনদের বরাতে ওসি বলেন, “এক পর্যায়ে সোমবার ভোরে টেকনাফ সদরের লেঙ্গুরবিল লম্বরীঘাট এলাকার সাগরে নিখোঁজ দুই শিশুর মৃতদেহ ভাসতে দেখে উদ্ধার করে স্বজনরা। পরে বিষয়টি স্বজনরা পুলিশকে অবহিত করে।”