Beta
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন : বগুড়ায় হামলায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।
Picture of আঞ্চলিক প্রতিবেদক, বগুড়া

আঞ্চলিক প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ার শিবগঞ্জে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত সালাউদ্দিন (৪৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে মারা যান তিনি। একই ঘটনায় আহত তার আরও তিন ভাই একই হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

স্বজনরা বলছেন, চার ভাইয়ের আহতের খবর সামলাতে না পেরে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তোফায়েল আহমেদ নামে তাদের আরেক ভাই নিজ বাড়িতে স্ট্রোক করে মারা গেছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ২৯ মে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট হয়। এ নির্বাচনে দেউলী ইউনিয়নের মেঘাখোর্দ্দ গ্রামের সালাউদ্দিনের ভাতিজা বোরহান মণ্ডল ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শাকিরুল ইসলাম দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। এ নিয়ে বিরোধের জেরে গত সোমবার সন্ধ্যায় মেঘাখোর্দ্দ গ্রামে হামলা হয়। আহত অপর তিনজন হলেন আলম মিয়া (৫৫), শেখ সাদি (৪৫) ও আবু সালেক (৬৫)।

হামলার ঘটনার দিনই সালাউদ্দিনের ভাতিজা বোরহান শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলায় দেউলী ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি শাকিরুল ও মন্টু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সালাউদ্দিন মারা যাওয়ায় মামলাটি এখন হত্যা মামলায় পরিণত হবে।

মামলায় বলা হয়, উপজেলা নির্বাচনে বোরহান মণ্ডল ও শাকিরুল ইসলাম দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। এই নিয়ে দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। গত সোমবার গ্রামের রাস্তায় প্রথমে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সাকিরুল ইসলাম ও লোকজন দেশি অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে বোরহানের পক্ষের লোকজনকে মারপিট করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।

সূত্র জানিয়েছে, মেঘাখর্দ্দ মসজিদ নিয়ে দেউলী ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি শাকিরুল ইসলাম ও বোরহানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। সদ্যসমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে এ দুইজন দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থনে কাজ করেন। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব আরও বাড়ে।

তবে মামলার বাদী বোরহান বলেন, “মসজিদ কমিটির ঝামেলা এখানে কোনও বড় ঘটনা নয়। মূলত ২৯ মে উপজেলা নির্বাচনের সকাল থেকেই ভোট দেওয়া নিয়ে আমার সঙ্গে শাকিরুল রেষারেষি শুরু করে।

“তখন থেকেই আমাদের ওপর হামলার পাঁয়তারা করছিল। সোমবার সন্ধ্যায় আমার বাবা-চাচাদের পেয়ে শাকিরুল প্রথমে হামলা চালায়। পরে অন্যদের হামলার নির্দেশ দেয়।”

তিনি বলেন, “হামলার পর আমার বাবা ও তিন চাচাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বাড়িতে কেউ ছিল না। চার ভাইয়ের এমন অবস্থা সইতে না পেরে গতকাল আমার চাচা তোফায়েল আহমেদ স্ট্রোক করে মারা গেছেন। আজকে সকালে বড় চাচা সালাউদ্দিনও মারা গেলেন।”

মামলার বাদি আরও বলেন, “এ ঘটনায় দুই জন গ্রেপ্তার হলেও তার আত্মীয়-স্বজনরা আমাদের ক্রমাগত হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। আমরা ভয়ে বাড়িতেও যেতে পারছি না।”

শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ বলেন, “মারামারিতে আহত সালাউদ্দিন নামে একজন আজ সকালে মারা গেছেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপ দেওয়া হবে। এ ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার আছেন। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত