বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে আশিক মিয়া নামে এক অটোরিকশা চালককে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। রায়ে তার স্ত্রী মিনা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে বগুড়ার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।
নিহত আশিক মিয়া সারিয়াকান্দির হাটফুলবাড়ীর মো. আনিস উদ্দিনের ছেলে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সারিয়াকান্দির শিবলু ফকির, শান্ত মিয়া ও মো. নাইম। রায়ে আশিকের স্ত্রী মিনা বেগকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ের পর আসামিদের বগুড়া জেলা কারাগারে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) আব্দুর রাজ্জাক খান।
আদালত সূত্র জানায়, শিবলু ফকিরের সঙ্গে অটোরিকশা চালক আশিক মিয়ার স্ত্রী মিনা বেগমের বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে আশিক ও মিনার মধ্যে কলহ লেগেই থাকত। হত্যার প্রায় চার মাস আগে বিষয়টি নিয়ে পারিবারিকভাবে সালিস বৈঠক হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আশিক মিয়াকে হত্যার চক্রান্ত করেন শিবলু।
এর অংশ হিসেবে ২০২০ সালের ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় আশিক মিয়ার অটোরিকশায় চড়ে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন শিবলু। ঘোরার সময় শিবলুর দুই বন্ধু শান্ত এবং নাইমও সঙ্গে ছিলেন। ঘুরতে ঘুরতে ছাগলধরা গ্রামের বাঙ্গালী নদীর কাছে যান তারা।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা আশিককে শ্বাসরোধ এবং গোপনাঙ্গে আঘাত করে হত্যা করেন। পরে এসিড দিয়ে মুখ পুড়িয়ে বাঙ্গালী নদীতে মরদেহ ফেলে দেন। এরপর আশিকের অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান তারা। ৪ অক্টোবর ছাগলধরা গ্রামের বাঙ্গালী নদীতে আশিকের মরদেহ পাওয়া যায়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রাজ্জাক খান জানান, মরদেহ উদ্ধারের পরদিন আশিকের বাবা আনিস উদ্দিন বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।