আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে শহীদ মিনারের সমাবেশ থেকে সরকারের পদত্যাগের দাবি তুলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন; এরপর একটি জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে তারা।
শনিবার বিকালে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। অন্য সমন্বয়করাও মঞ্চে তার সঙ্গে ছিলেন।
নাহিদ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব হল খুলে দেওয়ার ‘আল্টিমেটাম’ ঘোষণা করে বলেছেন, এরমধ্যে খুলে দেওয়া না হলে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই হল খুলে নেবে।
৯ দফা দাবি থেকে এক দফার দাবিতে আসা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
সরকার পদত্যাগ না করলে ‘রোড টু ঢাকা মার্চ’ কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারিও দেন আন্দোলনকারীরা।
শহীদ মিনারে এই সমাবেশের কর্মসূচি শুক্রবারই ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে রবিবার থেকে ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাকও রয়েছে আন্দোলনকারীদের।
বিকালে এই কর্মসূচি ঘোষণার আগে সকালে গণভবনে পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
আন্দোলনের মধ্যে আটক সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচারের আশ্বাস দেন তিনি।
আন্দোলনকারীদের জন্য গণভবনের দরজা খোলা আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাই। তাদের দাবি কী কী বাকি আছে, আমি তা শুনতে চাই, যেটা আমাদের সাধ্যের মধ্যে, তা আমি পূরণ করতে চাই। আমি সংঘাত চাই না।”
তবে এর পরপরই আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সরকারের সঙ্গে আলোচনায় না যাওয়ার কথা বলেন।
আসিফ ফেইসবুকে লেখেন, “গুলি আর সন্ত্রাসের সাথে কোনও সংলাপ হয় না।”
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের তিন নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুব-উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
তবে আসিফের মতো নাহিদও ফেইসবুকে লেখেন, “খুনি সরকারের কাছে বিচার চাওয়া বা সংলাপে বসারও সুযোগ আর নেই। ক্ষমা চাওয়ার সময়ও পার হয়ে গেছে।
“যখন সময় ছিল, তখন সরকার ব্লক রেইড দিয়ে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করেছে, নির্যাতন করেছে। আখতার হোসেন, আরিফ সোহেলসহ রাজবন্দিদের কারাগারে রেখে আমরা কোনও ধরনের সমঝোতায় যাব না।”
এর মধ্যে সমন্বয়ক টিম পুনর্গঠন করে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫৮তে উন্নীত করে শহীদ মিনারে সমাবেশে আসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
তাদের আহ্বানে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা এই সমাবেশে যোগ দেয়। সেই সব মিছিল থেকেত সরকারের পদত্যাগ দাবিতে মুহুর্মুহু স্লোগান উঠছিল।
সমাবেশের জমায়েত এক পর্যায়ে শহীদ মিনার ছাপিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চলে যায়। পুরো পরিবার নিয়েও এই সমাবেশে আসেন কেউ কেউ।
নানা বয়সী মানুষের স্লোগান ছিল ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর’ ইত্যাদি।
রিকশাচালকদের একটি দলকেও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে স্লোগানে তাল মেলাতে দেখা যায়। আলমাস নামে এক রিকশাচালক বলেন, “আইজক্যা কোনও খ্যাপ মারুম না। আইজক্যা শুধু আন্দোলন। বিজয় আমাদের হবে।”
কেন আন্দোলনে নেমেছেন- প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাদের ছাত্র ভাইদের যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, ওইডা দেখে কেউ থাকতে পারবে না। জিনিসপত্রে দাম চড়া, আমাদের সংসার চলে না। আন্দোলন না কইরা উপায় আছে।”
শহীদ মিনারে সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগে এসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দিনের কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করে।
অসহযোগ শুরুর আগের দিন শহীদ মিনারের পাশাপাশি ঢাকার মিরপুর, বাড্ডা, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, শান্তিনগর, আফতাবনগর, শনির আখড়াসহ বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ হয়েছে।
ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা থেকেও সমাবেশের খবর পাওয়া গেছে। সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে। কুমিল্লা ও বগুড়ায় সরকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের খবরও পাওয়া গেছে।
সর্বাত্মক অসহযোগ পালনে ১৫ নির্দেশনা
সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি সফল করতে দেশের মানুষের প্রতি কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সেখানে বলা হয়েছে, এই কর্মসূচি চলাকালে দেশের মানুষ যেন সরকারকে কোনও ধরনের ট্যাক্স বা খাজনা, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিল পরিশোধ না করেন। প্রবাসীদের দেশে রেমিটেন্স না পাঠাতেও অনুরোধ করা হয়েছে।
তবে এই নির্দেশনায় হাসপাতাল, ওষুধের দোকান, জরুরি পরিবহন সেবা, ফায়ার সার্ভিসসহ জরুরি সেবা চালু রাখার কথা বলা হয়েছে।
সমন্বয়কদের দেওয়া ১৫ দফা নির্দেশনায় খাজনা ও বিল পরিশোধ না করার পাশাপাশি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত ও কল কারখানা বন্ধ রাখতে।
এসব অফিসের কর্মীদের কর্মস্থলে না গিয়ে মাস শেষে বেতন তুলতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে, প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে কোনও ধরনের রেমিটেন্স দেশে পাঠাবেন না, সব ধরনের সরকারি সভা, সেমিনার, আয়োজন বর্জন করবেন, বন্দরের কর্মীরা কাজে যোগ দেবেন না, কোনও ধরনের পণ্য খালাস করবেন না।
অসহযোগ চলাকালে দেশের কোনও কলকারখানা চলবে না জানিয়ে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গার্মেন্টসকর্মী ভাই বোনেরা কাজে যাবেন না। গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, শ্রমিকরা কেউ কাজে যাবেন না।
জরুরি ব্যাক্তিগত লেনদেনের জন্য প্রতি সপ্তাহের রবিবারে ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে বলে নির্দেশনায় লেখা হয়েছে।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, পুলিশ সদস্যরা রুটিন ডিউটি ছাড়া আর কোনও ধরনের প্রটোকল ডিউটি, রায়ট ডিউটি ও প্রটেস্ট ডিউটিতে যাবেন না। শুধু মাত্র থানা পুলিশ নিয়মিত থানার রুটিন ওয়ার্ক করবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশ থেকে যেন একটি টাকাও পাচার না হয়, সব অফশোর ট্রান্জেকশন বন্ধ থাকবে।
বিজিবি ও নৌবাহিনী ছাড়া অন্যান্য বাহিনী ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ডিউটি পালন করবে না। বিজিবি ও নৌবাহিনী ব্যারাক ও কোস্টাল এলাকায় থাকবে।
আমলারা সচিবালয়ে যাবেন না, ডিসি বা উপজেলা কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে যাবেন না।
বিলাস দ্রব্যের দোকান, শো রুম, বিপনী-বিতান, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।
তবে নির্দেশনায় হাসপাতাল, ফার্মেসি, জরুরি পরিবহন সেবা যেমন-ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহন, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহন, জরুরি ইন্টারনেট সেবা, জরুরি ত্রাণ সহায়তা এবং এই খাতে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিবহণ সেবা চালু এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বেলা ১১-১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহাল করে গত জুন হাইকোর্টের রায়ের পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে।
আন্দোলনের সূচনায় গত ৯ জুন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে প্রথম সমাবেশ হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরে ব্যানার বদলে হয় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’।
গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত তাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণই ছিল। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালালে তা সহিংসতায় গড়ায়।
পরদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়। ১৮ জুলাই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। এরপর কয়েকদিনে দুই শতাধিক নিহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েন করে সরকার।
এরই মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনায় সব ধরনের সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা সংস্কারর করে সরকার। ৫৬ শতাংশ থেকে কোটার অনুপাত নামিয়ে আনা হয় ৭ শতাংশে।
এরপর আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ৯ দফা দাবি তুলে তা আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
৯ দফায় যা ছিল
>> ছাত্র-নাগরিক হত্যার দায় নিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে সরকার প্রধানকে।
>> আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক ছাত্র-নাগরিক হত্যার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। ইন্টারনেট শাটডাউন করে দেশে ডিজিটাল ক্র্যাকডাউন করায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে পদত্যাগ করতে হবে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেরকে ‘ড্রাগ এডিক্টেড’ বলে এবং আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে পদত্যাগ করতে হবে।
>> ঢাকাসহ যত জায়গায় ছাত্র-নাগরিক নিহত হয়েছে, সেখানকার ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে।
>> ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে ক্যাম্পাসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা হয়েছে, প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং প্রক্টরদেরকে পদত্যাগ করতে হবে।
>> যে পুলিশ-বিজিবি-র্যাব ও সেনা সদস্যরা শিক্ষার্থীদের উপর গুলি করেছে, ছাত্রলীগ-যুবলীগের যারা শিক্ষার্থীদের উপর হামলা পরিচালনা করেছে এবং যেসব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে, তাদেরকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করতে হবে।
>> দেশব্যাপী যেসকল ছাত্র-নাগরিক নিহত এবং আহত হয়েছে, তাদের পরিবারকে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
>> দেশের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগসহ দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে দ্রুততম সময়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ছাত্র সংসদ কার্যকর করতে হবে।
>> অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হলগুলো খুলে দিতে হবে। কারফিউ তুলে নিয়ে সারাদেশের সমস্ত ক্যাম্পাসে মোতায়েনকৃত পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সোয়াট এবং আর্মি তুলে নিতে হবে।
>> বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কোনও ধরনের হয়রানি করা হবে না- এই মর্মে অঙ্গীকার করতে হবে। ছাত্র-নাগরিকদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে ও তাদের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
এর মধ্যে আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের একটি ভিডিও বার্তা দেওয়া হয় সংবাদ মাধ্যমে।
পরে ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তি পেয়ে ছয় সমন্বয়ক বলেন, ওই বার্তা দিতে তাদের বাধ্য করা হয়েছিল।
এরপর ৯ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা; শনিবার তার এক দফায় রূপ নিল।
অসহযোগ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ লিখেছেন, “গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। কোনও ধরনের দমন-পীড়ন, প্রোপাগান্ডা ও ষড়যন্ত্র করে এ আন্দোলন থামানো যাবে না।
“জরুরি অবস্থা বা কারফিউ ছাত্র-নাগরিক মেনে নেবে না। শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি চাইলে গুলি ও হামলা করার নির্দেশ বন্ধ করতে হবে। নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আহ্বান থাকবে, খুনি সরকারকে সমর্থন না দিয়ে ছাত্র-নাগরিকের পাশে থাকুন। আগামীকাল থেকে অসহযোগ কর্মসূচি সফল করুন।”