অমর একুশে বইমেলা শুরু হতে বাকি আর মাত্র একদিন। এক ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাওয়া বইমেলা বসবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এতে অংশ নিবে মোট ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠান, থাকবে ৯৩৭টি স্টল।
বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ এর সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় মঙ্গলবার। সেখানে মেলা কমিটির সদস্যসচিব ড. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা ।
মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, এবার বইমেলা আয়োজন করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায়। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিট অর্থাৎ মোট ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৩৭টি ইউনিট স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
গতবছর বইমেলায় অংশ নিয়েছিল মোট ৬০১টি প্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ এবার প্রকাশনা সংস্থা বেড়েছে ৩৪টি।
নূরুল হুদা বলেন, আমাদের সংকট অনেক, বিপদও অনেক। এর আগে আমরা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে মেলার আয়োজন করেছি। পরে ভাবলাম, ১৯৭২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যদি নিজেরা মেলার আয়োজন করতে পারি তবে এবার কেন পারব না? এবার আমরা নিজেরাই আয়োজন করছি।
তিনি জানান, এক ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইমেলার উদ্বোধন করবেন। সেদিন পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারও তুলে দেবেন তিনি।
২০০৬ সালের পর এবার আবারও এককভাবে বইমেলা আয়োজন করছে বাংলা একাডেমি, এই আয়োজনে সহযোগিতা করছে বিকাশ। মেলায় ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৩৭ ইউনিট স্টল বরাদ্দ করা হয়েছে, থাকছে ৩৭টি প্যাভিলিয়ন।
প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে শুরু হয়ে মেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। মেলায় প্রবেশ করা যাবে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত। ছুটির দিন মেলা শুরু হবে সকাল ১১ টায়। শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত থাকবে শিশুপ্রহর। ২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮ টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাও থাকবে বইমেলায়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বইমেলার প্রবেশ ও প্রস্থানপথে পর্যাপ্ত আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মেলা এলাকায় বসানো হয়েছে তিন শতাধিক ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা। মেলার ভেতরে ও আশপাশে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থার পাশাপাশি বইমেলা থাকবে পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত।