ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মৌলভীবাজারের কিশোরী স্বর্ণা দাসের মৃত্যুতে বাংলাদেশের প্রতিবাদ পাঠানোর পাঁচ দিন পেরোলেও, তার প্রতিক্রিয়ায় এখনও কিছু জানায়নি দেশটি।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে একথা জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর মায়ের সঙ্গে কুলাউড়া উপজেলার লালারচক সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে ভারতে আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় বিএসএফরের গুলিতে নিহত হয় স্বর্ণা। স্থানীয় নিরোদ বিহারী উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির এই শিক্ষার্থীর গুলিবিদ্ধ লাশ ভারত সীমান্তের ভেতর নিয়ে যায় বিএসএফ। পরে ৩ সেপ্টেম্বর স্বজনদের কাছে লাশ ফেরত দেয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ৫ সেপ্টেম্বর ভারত সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপরও গত সোমবার ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আরেক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশের প্রতিবাদের জবাবে ভারত কোনও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কিনা, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।”
সেক্ষেত্রে কড়া প্রতিবাদে কোনও কাজ হয়নি কিনা, তাও জানতে চান সাংবাদিকরা।
মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমরা প্রতিবাদের ভাষা অনেক শক্ত করেছি। এই মুহূর্তে আমাদের এটুকুই করার আছে। আমরা সবসময় বলছি, সীমান্ত হত্যা একটি সংবেদনশীল বিষয়; আশা করছি ভারত বিষয়টিকে বিবেচনায় নেবে।”
দুই দেশের সুসম্পর্কের স্বার্থেই সীমান্ত হত্যা থেকে ভারতের বেরিয়ে আসা উচিত বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “সীমান্ত হত্যা দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। ‘সীমান্ত হত্যা ভারতের উপকার করছে’- এরকমটি কাউকে বলতে শুনিনি।”
বাংলাদেশি কিশোরী স্বর্ণা দাস বিএসএফের গুলিতে নিহতের পর ভারতীয় হাইকমিশনে বাংলাদেশের প্রতিবাদ নোট পাঠানোর বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছি এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছি। সোমবারের হত্যাকান্ড নিয়েও আমরা একই রকম প্রতিবাদ জানাব। যেখানে সুযোগ হয়, সেখানেই এ বিষয়ে আমরা বলব।”