পুঁজিবাজারের মূল্যসূচক পতনের কারণ খুঁজতে গঠিত কমিটি কাজ শুরুর পরদিন সেই পতনে ছেদ দেখা গেল। আকর্ষণীয় শেয়ার দেখে সুযোগ সন্ধানী বিনিয়োগকারীরা লেনদেনে ঝোঁকায় বড় লাফ দিয়েছে মূল্যসূচকও।
অব্যাহত দরপতনে দেশের প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছিল, যা ছিল চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। সেই সূচক মঙ্গলবার লাফিয়ে উঠেছে মনস্তাত্ত্বিক সীমা ৫০০০ পয়েন্টের উপরে।
চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই দিন রবিবার ও সোমবারও বড় পতন হয় বাজারে। রবিবার ডিএসইএক্স প্রায় ১৫০ পয়েন্ট পড়েছিল। সোমবার ৬৭ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮৯৮ দশমিক ৫২ পয়েন্টে নেমে এসেছিল।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৮ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার পয়েন্টের উপরে ৫ হাজার ১৭ দশমিক ৩২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। শতাংশ হিসাবে বেড়েছে প্রায় আড়াই শতাংশ।
অন্য বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৯৬ দশমিক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ১৭ দশমিক ৫০ পয়েন্টে দাড়িয়েছে। শতাংশ হিসাবে বেড়েছে ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।
রবিবার পুঁজিবাজারে বড় পতনের পর এর কারণ অনুসন্ধানে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
কমিটির প্রধান করা হয়েছে সংস্থাটির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ শামসুর রহমানকে। অন্য সদস্যরা হলেন- বিএসইসির উপপরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারিসুল হাসান রিফাত, ডিএসইর সহকারী মহাব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমান এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) সহকারী মহাব্যবস্থাপক কাজী মিনহাজ উদ্দিন।
তদন্ত কমিটি গঠনসংক্রান্ত বিএসইসির আদেশে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজার দরপতনের ধারায় রয়েছে। এই পতনকে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। এ কারণে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে দরপতনের কারণ খতিয়ে দেখা দরকার। এ জন্য গঠিত কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
কমিটিকে বেশ কয়েকটি বিষয় খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এ জন্য সুনির্দিষ্ট কার্যপরিধিও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে- সাম্প্রতিক সময়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের টানা পতনের কারণ অনুসন্ধান, এ সময়ে বাজারে গুজব ছড়ানোর সঙ্গে কোনও ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন কি না—তা খুঁজে দেখা, দরপতনের পেছনে আকস্মিক কোনও ঘটনা রয়েছে কি না এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ করা।
তদন্ত কমিটি সোমবার কাজ শুরু করার পর মঙ্গলবার বাজারের ধারাবাহিক পতনে ছেদ পড়ল।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী স্টক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, “বাজারে বর্তমানে আস্থার সংকট বেশি। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে না পারলে পুঁজিবাজার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে না।
“পতনের পর পতনে বাজারে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। আজ (মঙ্গলবার) সূচক বাড়ায় সেই আতঙ্ক কিছুটা হয়ত কমেছে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।”
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুঁজিবাজারে ব্যাপক উত্থান শুরু হয়। মূল্যসূচকের পাশাপাশি লেনদেনও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। টানা চার কর্মদিবসে (৬, ৭, ৮ ও ১১ আগস্ট) প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৮০০ পয়েন্টের মতো বেড়েছিল।
১১ আগস্ট ডিএসইএক্স ৯১ পয়েন্টের বেশি বেড়ে ৬ হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে ৬ হাজার ১৫ দশমিক ৯০ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। লেনদেন ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
তবে ১২ ও ১৩ আগস্ট বাজার হোঁচট খায়; এই দুই দিনে ডিএসইএক্স প্রায় ১৫০ পয়েন্টের মতো পড়ে যায়; সূচক নেমে আসে ৫ হাজার ৮৬৭ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে। লেনদেন নেমে আসে হাজার কোটি টাকায়।
এরই মধ্যে ১৩ আগস্ট অর্থনীতিবিদ পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
তার নিয়োগের খবরে ১৪ আগস্ট দুই বাজারেই সূচক বাড়ে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ৮৪ দশমিক ৮১ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বাড়ে ১৩২ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট।
মাসরুর রিয়াজের নিয়োগের পরপরই বিতর্ক ওঠার প্রেক্ষাপটে তার নিয়োগ স্থগিত রাখে সরকার। এ খবরে ১৫ আগস্ট দুই বাজারেই সূচকের পতন দেখা যায়। ডিএসইএক্স ৪৮ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯০৩ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে দাঁড়ায়।
এরই মধ্যে ১৬ আগস্ট পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানান মাসরুর রিয়াজ। পদত্যাগের কারণ জানিয়ে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতিও দেন মাসরুর।
এমন পরিস্থিতিতে ১৮ আগস্ট দুই বাজারেই মূলসূচকের বড় পতন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২৫ দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৭৮ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে নেমে আসে।
মাসরুর রিয়াজ রাজি না হওয়ায় ১৮ আগস্ট পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের জন্য খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে নিয়োগ দেয় সরকার।
কিন্তু পুঁজিবাজারে পতন থামেনি। দু-একদিন ছাড়া প্রায় প্রতিদিনই সূচক পড়েছে দুই বাজারে। লেনদেনেও খরা নেমে আসে।
অনেক দিন পর মঙ্গলবার দুই বাজারেই সূচক বেশ খানিকটা বেড়েছে।
মঙ্গলবারের বাজার পরিস্থিতি
মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৮ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৭ দশমিক ৩২ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়া সূচক ২৬ দশমিক ২০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১১৩ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৫২ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৫৮ দশমিক ২৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩১২টিরই দাম বেড়েছে। কমেছে ৫৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৫টির দর।
৩৪৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। সোমবার লেনদেনের অঙ্ক ছিল ৩৫৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৯৬ দশমিক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ১৭ দশমিক ৫০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১২১ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৫২৭ পয়েন্টে। শরিয়া সূচক ১০ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বেড়ে ৯০৩ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১৮১ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ৬৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন সিএসইতে ১৮০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০২টির। কমেছে ৫৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২২টির দর।
১০ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। সোমবার লেনদেনের অঙ্ক ছিল ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
একগুচ্ছ নীতি সহায়তার উদ্যোগ বিএসইসির
পুঁজিবাজারের উন্নয়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা দিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারী, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, উচ্চ সম্পদশালী বিনিয়োগ ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এসব সহায়তার আওতাভুক্ত হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর ও ফারজানা লালারুখ, নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম ও মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, অর্থ উপদেষ্টা দেশে ফিরেছেন। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সমন্বিতভাবে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে নীতি সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। যার মধ্যে কিছু থাকবে স্বল্প মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য, আর কিছু বিষয় মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু কারণে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। এ অবস্থায় বাজারের উন্নয়নে তিনটি বিষয় মাথায় রেখে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হবে। এগুলো হলো বিনিয়োগকারীর সুবিধা, বাজার মধ্যস্থতাকারীদের সমস্যার সমাধান ও বাজারের গভীরতা বৃদ্ধি।
বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়াতে কর সুবিধা দেওয়া এবং ভালো কোম্পানিকে তালিকাভুক্তিতে আগ্রহী করতে কর প্রণোদনা বৃদ্ধি করা দরকার। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, সেটি কীভাবে ও কাদের দেওয়া হবে—এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হবে।
আইসিবিকে তহবিল সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি দ্রুত সম্পন্ন করতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হবে।
এছাড়া শেয়ার পুনঃক্রয়ের বিষয়ে কী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, তা নিয়েও সরকারের সঙ্গে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।
মতবিনিময়কালে পুঁজিবাজার বিষয়ে কর্মরত সাংবাদিকেরা নিজেদের কর্ম অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বাজারের বিভিন্ন সমস্যা ও সুপারিশ তুলে ধরেন। কমিশনের পক্ষ থেকে এসব সুপারিশ লিপিবদ্ধ করা হয়।
সাংবাদিকদের বক্তব্যের পর কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাজারে প্রান্তিক ঋণ ও নেগেটিভ ইক্যুইটির সমস্যার সমাধানে কমিশন কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। কমিশন প্রতিদিনের বাজারের উত্থান-পতনে কোনো হস্তক্ষেপ করতে চায় না।
তবে বাজারে যাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসে, সে জন্য আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সচেষ্ট থাকবে। কমিশন আরও জানায়, ভালো কোম্পানি বাজারে আনতে এরই মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারা।
বহুজাতিক, সরকারি-বেসরকারি ভালো কোম্পানি বাজারে আনতে কমিশন কাজ করছে। পাশাপাশি তথ্য সরবরাহপ্রক্রিয়া সহজ করতে ডিজিটালাইজেশনের ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়।
খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শেয়ারের দামে সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস আরোপ থাকায় অনেক বিনিয়োগকারী বাজার ছেড়ে চলে গেছেন। বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের শেয়ারবাজার বিমুখ হয়ে গেছেন।
আবার উচ্চ করহারের কারণে সম্পদশালী ব্যক্তিরা বিনিয়োগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। অন্যদিকে উচ্চ সুদ পাওয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এখন ট্রেজারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগে বেশি আগ্রহী। তাই পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বৃদ্ধিতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে মিউচুয়াল ফান্ড খাতকে আরও বেশি সক্রিয় করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, “গত দুই মাসে আমরা বাজারসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে অনেক আলোচনা করেছি। এসব আলোচনায় বাজারের উন্নয়নের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা উঠে এসেছে, সেগুলো সমাধানে কাজ করছে কমিশন।
“সব মিলিয়ে বিনিয়োগকারীরা ভবিষ্যতে ভালো কিছু পাবেন বলে আমরা তাদের আশ্বস্ত করছি। বর্তমানে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কারের কাজ চলছে। তারই অংশ হিসেবে পুঁজিবাজারেও স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে নানা সংস্কার বাস্তবায়ন হবে, যার সুফল বিনিয়োগকারীরা পাবেন। বর্তমান কমিশন সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিতের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ পুঁজিবাজার গঠনে বদ্ধ পরিকর।”