২৪ বলে ৩৩ রান দরকার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। এমন সমীকরণের ম্যাচে বোলিং দলের জয় কতোই তো দেখা যায়। সেরকম স্বপ্ন দেখছিল রংপুর রাইডার্সও। কিন্তু আন্দ্রে রাসেলের তাণ্ডবে তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে গেল রংপুরের স্বপ্ন। হাসান মাহমুদের এক ওভারে ২৫ রান নিয়ে কুমিল্লাকে ৬ উইকেটের জয় এনে দেন রাসেল।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দারুণ তৃপ্ত কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, “এটা তো স্বাভাবিক। সবাই তো প্রত্যাশা করে যে সে (আন্দ্রে রাসেল) এই রকম খেলবে। এ কারণেই তো তাকে সেরা ফিনিশার বলা হয়।”
ম্যাচে আগে ব্যাট করে জিমি নিশামের ৪২ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৬৯ রানে রংপুর ১৫০ রান তোলে। ১৫তম ওভার শেষেও ম্যাচে লড়াইয়ের আভাস ছিল। ১৭তম ওভারে আসেন হাসান। প্রথম বলে মঈন আলি সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইকে পাঠান রাসেলকে।
ওভারের দ্বিতীয় বল থেকে শুরু হয় উইন্ডিজ পাওয়ার হিটারের তাণ্ডব। ৪-৬-৪-৬-৪ পাঁচ বলে ২৪ রান নিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন নিমিষেই। পরের ওভারে শেখ মেহেদির বলে ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়েও দেন। ১৭.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫১ করে কুমিল্লা। বল হাতে ২০ রানে ৩ উইকেট নেয়ায় ম্যাচ সেরাও হন রাসেল।
ম্যাচ সেরা হওয়া রাসেল শুধু নন। কোচ সালাউদ্দিনের প্রশংসায় ভেসেছেন ৪২ বলে ৪৩ রান করা লিটন। আগের ম্যাচে ৮৫ রান করা এই ব্যাটার সব সমস্যাই কাটিয়ে উঠছেন বলে বিশ্বাস কোচের।
তেমনি অধিনায়ক হিসেবেও লিটনকে লেটার মার্ক দিলেন সালাউদ্দিন, “লিটনকে বাইরে থেকে কে কি বলল সেটা নিয়ে ভাবছি না। আমি যেমন দেখছি যে লিটন অধিনায়ক হিসেবে খুব ভালো করছে। ওর যে কমতি গুলো ছিল সেসব কাটিয়ে ওঠার জন্য চেষ্টা করছে। মাঠ খুব ভালো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। মানুষ বাইরে থেকে অনেক মন্তব্য করতে পারে। কিন্তু দায়িত্ব দেওয়ার আগে কেমন আর দায়িত্ব দেওয়ার পর কেমন করে সেটা দেখে মন্তব্য করলে ভালো হয়।”