হেভিওয়েটদের সঙ্গে আন্ডারডগদের লড়াই। তাতে জিতল আন্ডারডগরাই। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শোয়েব মালিকদের নিয়ে গড়া ফরচুন বরিশালকে ১৪৬ রানের টার্গেট দিয়ে আটকে দিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। জাতীয় দলের লাইন থেকে হারিয়ে যাওয়া আল আমিন হোসেন ও শহিদুল ইসলামরা চট্টগ্রামকে ১৬ রানের জয় এনে দিলেন।
তামিমদের হারের কারণ ধীর ব্যাটিং। ৫ ওভারে বরিশালের রান ছিল ২ উইকেটে ২৮। সেখান থেকে পরের ৫ ওভারে তাদের রান ৩ উইকেটে ৫৭। ১০ ওভারে এই রান চট্টগ্রামের ৫ উইকেটে করা ১৪৫ রানের পুঁজি তাড়া করা সহজ হয়নি তামিমদের জন্য। ৮ উইকেটে ১২৯ রানে থেমেছে বরিশাল।
১০ ওভারের পর রানের গতি বাড়েনি বরিশালের। স্লগ ওভারগুলোতে আল আমিন ও শহিদুলদের কার্যকর স্লোয়ারে পরাস্ত হন বরিশালের ব্যাটাররা। ওদিকে ওভারপ্রতি রান বেড়ে যাওয়ার চাপও জেঁকে ধরেছিল তামিমদের। অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের লাইন সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন তামিম। ৪৬ বলের ইনিংসে ৪টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল। তবে তার ব্যক্তিগত রান একটা সময় পর্যন্ত বলের চেয়ে অনেক কম ছিল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে সাইফউদ্দিনের ব্যাট থেকে। ১৮ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন এই অলরাউন্ডার।
গত বছর মে মাসের পর প্রথম খেলতে নেমে ৩০ রানের পাশাপাশি ৪ ওভারে ২৪ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন। চট্টগ্রামের আল আমিন ৩১ রানে ২টি ও শহিদুল ১৩ রানে ৩ উইকেট নেন।
এর আগে চট্টগ্রাম দুই বিদেশি টম ব্রুসের ৪০ বলে ৫০ ও জস ব্রাউনের ২৩ বলে ৩৮ রানে ৫ উইকেটে ১৪৫ রানের পুঁজি গড়ে।