নানা কাণ্ডে বরাবরই শিরোনামে আসে বিপিএল। এবারও তেমনি একটি ভিন্ন কারণে আলোচনায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও দুর্দান্ত ঢাকার ম্যাচটি। খেলায় ১৫ জনের টিম শিটের বাইরে থাকা ক্রিকেটার খেললেন কনকাশন সাব হয়ে। ঢাকা দলে থাকা ১৫ জনের মধ্যে কনকাশন করার মতো ক্রিকেটার না থাকায় এই পথে হাঁটতে হলো ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসানকে।
ঘটনা ঢাকার ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের। আল আমিনের ওভারে স্কুপ করতে গিয়ে থুতনিতে বলের আঘাত পান দলটির শ্রীলঙ্কান ব্যাটার দানুশকা গুনাতিলকা। সঙ্গে সঙ্গে রক্ত বের হওয়ায় কনকাশন বদলি হতে হয় তাকে।
কিন্তু এই ম্যাচের জন্য ঘোষিত ঢাকার ১৫ জনের দলে ছিলেন না লাইক টু লাইক কোনো ক্রিকেটার। মানে আইসিসির কনকাশন নিয়ম অনুযায়ী ব্যাটারের বদলে ব্যাটারকেই নামাতে হতো।
ঢাকা দলে তেমন কেউ না থাকায় ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসানের কাছে লাইক টু লাইক হিসেবে দলে থাকা অপর লঙ্কান ব্যাটার লাসিথ ক্রুসপুলেকে খেলানোর আবেদন জানায় দুর্দান্ত ঢাকা। সেই আবেদন আমলে নিয়ে এই ব্যাটারকে খেলার অনুমতি দেন রেফারি।
সাত নম্বরে নামা ক্রুসপুলের ব্যাটেই শেষ পর্যন্ত মুখ রক্ষা হয় ঢাকার। নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৬ রান করে তারা। ৩১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ বলে ২ চারে ২৭ রান আসে ইরফান সুক্কুরের ব্যাট থেকে।
আল আমিন ও বিলাল খানের ২টি করে আর নিহাদুজ্জামান, শুভাগত হোম ও কার্টিস ক্যাম্ফারের একটি করে উইকেটে ঢাকার বাকি ব্যাটাররা ছিলেন ব্যর্থ।