যে কোন খেলা শেষে দুই দলের সবার সৌজন্যমূলক করমর্দন করাই নিয়ম। রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশালের খেলা শেষে এই করমর্দনের প্রত্যাশায় ছিল সবাই। দেখার ছিল অনেকদিন নিজেদের মধ্যে কথা না বলা সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল কি করেন। বিপিএলের ম্যাচ শেষে দুই দলের সৌজন্যতায় শুধু হাত মিলিয়েছেন দুই তারকা।
ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুম থেকে তামিম অন্য ক্রিকেটারদের নিয়ে লাইন ধরে বের হন। ওদিকে সাকিব ছিলেন রংপুরের লাইনের তিন নম্বরে। দুই তারকা কাছাকাছি আসতে শুধু হাত মিলিয়ে নিয়ম মতো ‘গুড টু প্লে উইথ ইউ’ বলেই দুই দিকে চলে গেলেন। অথচ তামিমের পেছনে থাকা মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে হাত মেলানোর পর কোলাকুলিও করলেন সাকিব। দুজনে হালকা কথাও বলেছেন। সাকিব ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিলেন, বুক মেলানোর লোক নন তামিম !
তামিম-সাকিবের দূরত্বটা আরও স্পষ্ট হলো এই ম্যাচে। পুরস্কার বিতরণী হওয়ার আগে দুই দলের ক্রিকেটাররা আলোচনা করছিলেন একে অপরের সঙ্গে। সাকিব বরিশালের ড্রেসিংরুমের সামনে দাঁড়িয়েই কথা বলছিলেন অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে। মুশফিকও আরেক দফা এসে সাকিবকে সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। একটু দূরে দাঁড়ানো তামিম অন্যদের সঙ্গে কথা বললেও সাকিবের সঙ্গে আর কথা বলেননি।
খেলার বাইরে দুই তারকা দুই দিকে, মাঠেও দুজনের পারফরম্যান্স দুই রকম। ব্যাট হাতে তামিম রান করলেও সাকিব ছিলেন ব্যর্থ। তেমনি দুই মেরুতে দুই তারকার দল। অভিজ্ঞতায় ভরপুর বরিশালের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে সাকিবের রংপুর।
ম্যাচে আগে ব্যাট করা রংপুর ৯ উইকেটে ১৩৪ রানের মামুলি সংগ্রহ পায়। বরিশালের পেসার খালেদই ৩১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে রংপুরকে অল্পতে থামিয়ে দেয়। জবাবে দেখে শুনে খেলে ৫ উইকেটে ১৩৮ করে লক্ষ্য উতরে যায় বরিশাল। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাই দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন। শুরুতে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কার ৩৫ রানের ইনিংস।
তামিম ছাড়া মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ১টি করে চার ও ছক্কায় ২০, মুশফিকুর রহিম ২ চারে ২৭ বলে ২৬ রান করেন। শোয়েব মালিক ১৮ বলে ২ চারে ১৭ ও মাহমুদউল্লাহ ১১ বলে ২ ছক্কায় ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। মাহমুদউল্লাহর মারা ছক্কাতেই জয় নিশ্চিত হয় বরিশালের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
রংপুর রাইডার্স : ১৩৪/৯ (সোহান ২৩, শামীম ৩৪, মেহেদি ২৯, সাকিব ২; খালেদ ৪/৩১, মিরাজ ২/১৩)। ফরচুন বরিশাল : ১৩৮/৫ (তামিম ৩৫, মিরাজ ২০, মুশফিক ২৬, মালিক ১৭*, মাহমুদউল্লাহ ১৯*; হাসান মুরাদ ২/১৭, সাকিব ২/১৬)।
ফল : ফরচুন বরিশাল ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা : খালেদ আহমেদ।
