২০১৯ বিপিএলে ‘‘ধূমকেতুর’’ মতোই আবির্ভাব আলিস আল ইসলামের। বিপিএল অভিষেকে করেছিলেন হ্যাটট্রিক। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে ওই ম্যাচে ৪ উইকেট নেন।
সেই আল ইসলাম এতদিন ছিলেন আলোচনার বাইরে। হ্যাটট্রিক নেয়ার পারফরম্যান্সের দুদিন পর সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনে মাঠের বাইরে যেতে হয় তাকে। পরে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছেন বটে কিন্তু পারফরম্যান্স ছিলো না তার।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হাত ধরে এই বিপিএল দিয়েই আবার ফিরলেন লাইমলাইটে। এবারও ‘‘ধূমকেতু’’ আবির্ভাব তার। বিপিএলে দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ম্যাচ সেরা বোলিংয়ে (৪/১৭) দলকে এনে দিলেন ৫২ রানের জয়।
উইন্ডিজ স্পিনার সুনিল নারিনের অ্যাকশন নকল করা আলিসের বল পড়তেই পারেননি সিলেটের ব্যাটাররা। কখনও অফস্পিন আবার কখনও ক্যারম বল করে দ্বিধায় রেখেছেন সবাইকে। এই ধাঁধায় পড়ে উইকেট বিলিয়েছেন ব্যাটাররা।
আলিস প্রথম ওভারেই নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ মিঠুনকে তুলে নেন। মিঠুনকে অবশ্য নিজেই রান আউট করেন। কুমিল্লার ইনিংসের শুরুর ৮ ওভারের মাঝে আরও তিনটি ওভারে আলিসকে আক্রমণে টানেন অধিনায়ক লিটন দাস। ওই তিন ওভারে আরও তিন উইকেট আলিসের। নিজের তৃতীয় ওভারে ইয়াসির আলি ও চতুর্থ ওভারে পরপর দুই বলে বেন কাটিং ও মাশরাফি বিন মর্তুজা।
২৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ সেখানেই হেরে যায় সিলেট। হুমকি ছিল বিপিএলের সর্বনিম্ন ৪৪ রানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার। সিলেটকে সে লজ্জায় পড়তে হয়নি জাকির হাসানের (৪১) ও রায়ান বার্লের (১৪) ৪০ রানের জুটিতে। তবে তা জয়ের জন্য কোন কাজেই আসেনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ২০ ওভারে ১৩০/৮ (ইমরুল ৩০, জাকের ২৯, খুশদিল ২১; সামিত ৩/১৬, এনগারাভা ২/২৫)।
সিলেট স্ট্রাইকার্স : ১৬.২ ওভারে ৭৮/১০ (জাকির ৪১, বার্ল ১৪; আল ইস’লাম ৪/১৭, চেজ ২/১৭)।
ফল : সিলেট স্ট্রাইকার্স ৫২ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরা : আলিস আল ইসলাম।