২০২৩ সালে ইমার্জিং এশিয়া কাপে ওপেনিংয়ে দুর্দান্ত খেলেছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। ৪ ম্যাচে তিনটি ফিফটিতে তার ব্যাট থেকে আসে ১৭৯ রান। ওই পারফরম তাকে বিশ্বকাপ দলে জায়গা এনে দেয়। অথচ মূল আসলে ফর্ম হারান।
সেই তামিম ফর্ম ফিরে পেয়েছেন বিপিএলে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন ১০ ম্যাচে ২৬৬ করে। ব্যাটারদের তালিকায় ৬ নম্বরে আছেন। শনিবার টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় ও এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৭০ রান করে দলকে জয় এনে দিয়েছেন তামিম।
তামিমের ৫১ বলে ৬ ছক্কা ও ১ চারে করা ৭০ রানে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৫৯ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে দুর্দান্ত ঢাকা ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানে আটকে যায়। ১০ রানের হারে টুর্নামেন্টে ১১তম হার নিশ্চিত হয় ঢাকার। দুর্দান্ত ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তামিম।
বিশ্বকাপে তামিম ইকবালের জায়গায় নেয়া হয়েছিল তানজিদকে। আসরে ভারতের বিপক্ষে ৪৩ বলে করা ৫১ রানের ইনিংসটি ছাড়া তামিমের বলার মতো স্কোর নেই। শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৪ বলে ৩৬ রান করেছিলেন।
হতাশাজনক টুর্নামেন্ট পার করায় নিউজিল্যান্ড সিরিজের দলে জায়গা হারান। বিপিএলে শুরুর দিকে ভালো কিছু ইনিংস দিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজে আবার ফিরেছেন জাতীয় দলে।
সবার সমর্থনেই রানে ফেরার পথ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তামিম, “অফ সিজনে এইচপি ক্যাম্প থাকে। সেখানে কাজ করা হয়। এরপরে সুজন (খালেদ মাহমুদ সুজন) স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। সোহেল (সোহেল ইসলাম) স্যারের সঙ্গেও কথা হয়েছে। জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় হাথুর (চন্ডিকা হাথুরুসিংহে) সঙ্গে কাজ করেছি। এরপর আমাদের ব্যাটিং কোচ নিক পোথাসের সঙ্গেও কাজ করেছি। সবাই আমাকে আমার যে দিকটায় উন্নতি করা দরকার সেই জায়গাগুলো দেখিয়ে দিতে সাহায্য করেছে।”