কোরে অ্যান্ডারসন একটা সময় খেলতেন নিউজিল্যান্ডে। ওয়ানডেতে শহীদ আফ্রিদির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও ভেঙেছিলেন তিনি। সেই অ্যান্ডারসন এখন থেকে ক্রিকেট খেলবেন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে।
তার মত জাতীয় দল বদলে দক্ষিণ আফ্রিকার কেভিন পিটারসেন খেলেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে। আইরিশ এউইন মরগানও দল বদলে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন ইংল্যান্ডকে। ভারতীয় ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত একাধিক ক্রিকেটারকে দেখা যায় অন্য দেশের হয়ে খেলতে।
তাই প্রশ্ন জাগে, বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া কেউ কি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন অন্য দেশের হয়ে। উত্তরটা অবাক করার মতই। ১৮৭৭ সালে মেলবোর্ন-এ অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক যে টেস্টটা হয়েছিল সেখানে খেলেছিলেন ঢাকায় জন্ম নেওয়া হেনরি কুপার।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সেই টেস্টটা খেলা ব্র্যানসবি হেনরি কুপারের জন্ম ঢাকায় ১৮৪৪ সালের ১৫ মার্চ। তার বাবা হেনরি কুপার তখনকার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে চাকরি করার সুবাদে এসেছিলেন ঢাকায়। সে সময়ই জন্ম তার। ব্র্যানসবি কুপারের দাদা ব্ল্যাক কুপার ছিলেন রয়্যাল সোসাইটির একজন ফেলো।
ঐ একটা টেস্ট খেলেই থেমেছিল কুপারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। দুই ইনিংস মিলিয়ে করেছিলেন ১৮ রান। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৫০ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরিসহ কুপারের রান ১৬০০। সাদামাটা পরিসংখ্যান হলেও ক্রিকেট কুপারকে মনে রাখবে ডব্লিউ জি গ্রেসের সঙ্গে তাঁর অসাধারণ কিছু জুটির রেকর্ডের জন্য।
১৮৬৯ সালে জেন্টলম্যান বনাম প্লেয়ার্সদের ম্যাচে ডব্লিউ জি গ্রেসের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ২৮৩ রান করেছিলেন তিনি। গ্রেস করেছিলেন ১৮০, কুপার ১০১। এটা রেকর্ড হিসেবে টিকেছিল ২৩ বছর।
শুধু কুপার নন, ভারতীয় উইকেটরক্ষক প্রবীর কুমার সেনের জন্ম ১৯২৬ সালের ৩১ মে কুমিল্লায়। ভারতের হয়ে ১৪ টেস্ট খেলেছেন খোকন ডাক নামের এই ক্রিকেটার। ১৯৫২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের প্রথম টেস্ট ম্যাচ জয়ের ম্যাচে পাঁচটি স্ট্যাম্পিং করেছিলেন তিনি।
বাংলাদেশি হুমায়ুন কবীর জ্যোতি খেলছেন সুইডেনের হয়ে। ২০১৬ সালে খুলনার বিভাগীয় অনূর্ধ্ব-১৮ দলে খেলেছেন খুলনায় জন্ম নেওয়া হুমায়ুন। পরের বছর স্টুডেন্ট ভিসায় তিনি যান সুইডেনে।
জাতীয় দলের ক্রিকেটার নুরুল হাসান সোহানের পরামর্শ ও সহযোগিতায় সেখানে খেলা শুরু করে পৌঁছে গেছেন জাতীয় দলে।
এছাড়া ফিনল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন হবিগঞ্জের নুরুল হুদা শিপন। ফ্রান্সের জাতীয় ক্রিকেট দলে প্রতিনিধিত্ব করছেন আরেক বাংলাদেশি জুবাইদ আহমেদ।