চোট কাটিয়ে এক বছরের বেশি সময় পর ফিরেছেন নেইমার। ছন্নছাড়া ব্রাজিলকে সঠিক কক্ষে ফেরাতে উদগ্রীব ছিলেন তিনি। ফিরতে চেয়েছিলেন ব্রাজিলের জার্সিতেও। তবে ইচ্ছে থাকলেও নেইমারকে ছাড়াই বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভেনেজুয়েলা ও উরুগুয়ের বিপক্ষে দল ঘোষণা করেছেন ব্রাজিলিয়ান কোচ দোরিভাল জুনিয়র।
দলে ফিরেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। চোটের জন্য সবশেষ ম্যাচে খেলা হয়নি তার। বাদ পড়েছেন এনদ্রিক। তবে ফিরেছেন আরেক বিস্ময় বালক এস্তেভাও, তাকে ডাকা হয় ‘ছোট মোসি’ নামে। নটিংহাম ফরেস্টের ২২ বছর বয়সী সেন্টার ব্যাক মুরিলো প্রথমবার ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলে।
গত ২১ অক্টোবর আল হিলালের হয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আল আইনের বিপক্ষে ৭৭তম মিনিটে বদলি হয়ে খেলেছিলেন নেইমার। এটা ছিল প্রায় এক বছর পর তার প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। দীর্ঘদিন পর এত অল্প সময় খেলা কাউকে জাতীয় দলে নেওয়ার ঝুঁকি নেননি ব্রাজিলের কোচ।
নেইমারকে দলে না নেওয়ার কারণ হিসেবে দোরিভাল জানালেন সে কথাই, ‘‘আমরা সবাই তার উন্নতির ব্যাপারে মনোযোগী। পুরোপুরি সেরে উঠেছে সে, তবে মাঠে খুব কম মিনিটই পেয়েছে। এটা বড় একটি কারণ। তাকে নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চাই না। পরেরবার তাকে ফেরানোর জন্য প্রস্তুত থাকব, প্রস্তুত থাকবে সেও।’’
দোরিভাল আরও যোগ করেন, ‘‘নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, নেইমার দলে থাকতে চেয়েছিল। তাকে দলে রাখতে পারলে আমিও খুশি হতাম। কিন্তু নেইমারকেও পরিস্থিতি বুঝতে হবে।’’
ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের ব্যালন ডি’অর না পাওয়া নিয়েও কথা বলেছেন দোরিভাল। এটা তার চোখে অন্যায়, ‘‘ভিনির সঙ্গে আমার আগের দিন কথা হয়েছে (ব্যালন ডি’অর দেওয়ার আগে, পরে হয়নি) । কথা বলতে হবে সরাসরি। আমার মতে, এটা অন্যায়। ব্যক্তিগত পুরস্কার এটা। এমন কেউ যদি থাকে যে দারুণ, তীক্ষ্ণ আর ভয়ংকর অ্যাথলেট, যার প্রতিভা পুরো বিশ্ব দেখেছে মৌসুমজুড়ে, সেটা ভিনিই।’’
রোদ্রির প্রশংসা করলেও পুরস্কারটার জন্য ভিনিকেই যোগ্য মনে করেন দোরিভাল, ‘‘এই পুরস্কারটা যে জিতেছে, তার বিপক্ষে আমি নই। সে স্প্যানিশ আর বিশ্ব ফুটবলের জন্যই দারুণ খেলোয়াড়। অনেকবার নিজেকে চিনিয়েছে। কিন্তু ভিনিসিয়ুস যা করেছে, এ জন্য তার অন্য রকম স্বীকৃতি প্রাপ্য ছিল। ব্যালন ডি’অর না হলেও ভিনিসিয়ুস জিতেছে মানুষের সম্মান ও ভালোবাসা। ব্রাজিলের বেশির ভাগ মানুষ বুঝতে পেরেছে অন্যায় ছিল এটা।’’
১৪ নভেম্বর ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে খেলবে ব্রাজিল। ২০ নভেম্বর পরের ম্যাচে উরুগুয়ের বিপক্ষে। লাতিন অঞ্চলের বাছাইপর্বে ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ব্রাজিল। সমান ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্জেন্টিনা।
ব্রাজিলের স্কোয়াড
গোলরক্ষক: এদেরসন, ওয়েবেরতন, বেন্তো ; রক্ষণভাগ: দানিলো, ভ্যান্ডারসন, আবনের, গিলের্মো আরানা, এদের মিলিতাও, গাব্রিয়েল মাগলায়েস, মার্কিনিওস, মুরিলো ; মাঝমাঠ: আন্দ্রে, ব্রুনো গিমারেস, গারসন, লুকাস পাকেতা, আন্দ্রেস পেরেইরা ; আক্রমণভাগ : রাফিনিয়া, এস্তেভাও, রদ্রিগো, লুইস হেনরিক, সাভিনিও, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, ইগর জেসুস।