বয়স ৩৮ পেরিয়ে গেছে। ক্যারিয়ারের শেষ অলিম্পিক খেলতে নেমেছেন মার্তা। ব্রাজিল তো বটেই, মেয়েদের ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা খেলোয়াড় বিবেচনা করা হয় তাকে। কিন্তু কখনও অলিম্পিকে সোনা জেতা হয়নি তার। এবার সেই আক্ষেপ দূর করার আরেকটি সুযোগ পেলেন মার্তা। ১৬ বছর পর আবার অলিম্পিকে মেয়েদের ফুটবলে ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল।
প্যারিস অলিম্পিকে মেয়েদের ফুটবলের সেমিফাইনালে শক্তিশালী স্পেনকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ২০০৮ সালের পর ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল। সোনার লড়াইয়ে তাদের সামনে যুক্তরাষ্ট্র। অন্য সেমিফাইনালে আমেরিকানরা ১-০ গোলে হারিয়েছে জার্মানিকে।
মেয়েদের ফুটবলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেন। স্বাভাবিকভাবেই মার্শেইয়ের ম্যাচে ফেভারিট ছিল স্প্যানিশরা। কিন্তু মার্তার ব্রাজিল দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ব্যবধান ঘুচিয়ে বিদায় করে দিয়েছে স্পেনকে।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ইরেনে পারেদেসের আত্মঘাতী গোলে শুরুতে লাতিন আমেরিকার দলটির উদযাপন। এরপর বিরতিতে যাওয়ার আগে গাবি পোর্তিলিয়োর লক্ষ্যভেদে ২-০ গোলের লিড নেয় ব্রাজিল।
৭২ মিনিটে আদ্রিয়ানা জাল খুঁজে পেলে স্পেনকে ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকে দেয় মার্তারা। যদিও ৭২ মিনিটে দুবার লক্ষ্যভেদে খেলায় ফেরার একটা ইঙ্গিত দিয়েছিল স্পেন। তবে কোনও লাভ হয়নি।
বরং দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমের প্রথম মিনিটে কেরোলিন জাল খুঁজে নিলে জয়ের সুবাস পেতে থাকে ব্রাজিল। ইনজুরি টাইমের ১২ মিনিটে সালমা পারালুয়েলো গোলটা কেবল স্পেনের হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।
ফাইনালে ওঠার আনন্দ অবশ্যই রয়েছে ব্রাজিলের। তবে সোনার লড়াইয়ের প্রতিপক্ষ নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা হওয়ার কথা। কারণ ২০০৪ ও ২০০৮ সালের অলিম্পিকে ফাইনালে উঠেও তাদের রুপা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের কারণে। আমেরিকানদের কাছে দুই ফাইনালেই হেরেছিল ব্রাজিল।
প্যারিস অলিম্পিকের ফাইনালেও প্রতিপক্ষ সেই যুক্তরাষ্ট্র। যারা টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট জার্মানিকে ১-০ গোলে হারিয়ে সোনার মঞ্চে উঠেছে। তাদের একমাত্র গোলটি এসেছে অতিরিক্ত সময়ে। নির্ধারিত ৯০ মিনিট গোলশূন্য থাকায় ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গেলে ৯৫ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন সোফিয়া স্মিথ।