জোগো বনিতোর ছন্দ উধাও। সুন্দর ফুটবলের ফুল ফোটাতে পারেনি ব্রাজিল। তাতে কী-ইবা আসে-যায়! জয়টাই এখন পরম পাওয়া। টানা তিন ম্যাচ হারের পর জয়ের পথে ফিরতে পারার আনন্দই এখানে মুখ্য। যার গোলে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্যর্থতার গোরো খুলেছে, সেই রোদ্রিগো জানালেন খেলা যাই হোক তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল জয়।
রোদ্রিগোর লক্ষ্যভেদে ইকুয়েডরকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। তাতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে টানা চার ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেয়েছে সেলেসাওরা। এর মধ্যে সর্বশেষ তিন ম্যাচ হেরেছিল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। জয়ের পথে ফিরলেও ফুটবল দিয়ে মন ভরাতে পারেননি ভিনিসিয়ুস-রোদ্রিগোরা।
ঘরের মাঠে ইকুয়েডরের বিপক্ষে প্রথমার্ধে তবু কিছুটা হলেও ছন্দ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে অবস্থা ছিল আরও খারাপ। রিয়াল মাদ্রিদে পায়ের জাদুতে বুঁদ করে রাখা ভিনিসিয়ুস গোলমুখে শট নিতে পেরেছেন মাত্র একটি। যেকারণে শেষ বাঁশি বাজার পর ঘরের মাঠের সমর্থকদের কাছ থেকেই দুয়ো শুনতে হয়েছে তাকে।
অবশ্য পারফরম্যান্স নিয়ে মোটেও ভাবছেন না রোদ্রিগো। তার কাছে জয়টাই বড় বিষয়, “ভালো খেললাম নাকি খেললাম না, তাতে কিছু আসে-যায় না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয হলো আমরা জিতেছি। যে করেই হোক আমরা জিততে চেয়েছিলাম। মৌসুমের শুরুর সময়টা সবসময় কঠিন। দীর্ঘ ভ্রমণ করার পর অনুশীলনের জন্য আমরা পর্যাপ্ত সময়ও পাইনি।”
কোপা আমেরিকায় ব্যর্থ ও বিশ্বকাপ বাছাইয়ে হারের বৃত্তে আটকে থাকা দলকে টেনে তুলতে পেরে আনন্দিত রোদ্রিগো, “জিততে পেরে ভালো লাগছে, আরও ভালো লাগছে গোল করতে পেরে। আশা করছি, আমাদের যে পর্যায়ে যাওয়ার লক্ষ্য, সেখানে যাওয়ার পথে এই জয় ভূমিকা রাখবে ও আমাদের উন্নতিতে সাহায্য করবে।”
চোটের কারণে ইকুয়েডরের বিপক্ষেও ছিলেন না নেইমার। দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় না থাকায় অন্যদের দায়িত্ব তুলে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখেন রোদ্রিগো, “দীর্ঘ সময় ধরে জাতীয় দলের দায়িত্বভার একা বয়ে গিয়েছেন নেইমার। সবাই জানে সে আমাদের সেরা খেলোয়াড়। এই দলে তার জায়গা নিশ্চিত। তবে আমাদেরও দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিতে হবে। আমি এখনও তরুণ, মাত্র ২৩ বছর বয়স। তবে এই দলের অন্যতম অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আমি।”