জয় দিয়ে ফরচুন বরিশাল বিপিএল শুরু করলেও তার মালিক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে পাওনা আদায়ের আন্দোলন করছেন কিছু ক্রিকেটার। তার আরেকটা পরিচয় ছিল, তিনি ব্রাদার্স ইউনিয়নের কর্মকর্তা। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এই দলটির ক্রিকেটারদের পাওনা পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
ক্লাবের ক্রিকেটাররাই এই অভিযোগ তুলেছেন। শনিবার মিরপুরে বরিশালের খেলা চলাকালীন পারিশ্রমিক আদায়ের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ব্রাদার্সের ক্রিকেটাররা। তবে মিজানুর রহমানের দাবি, ব্রাদার্সের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে দিয়েছেন তিন বছর আগে। পদত্যাগের লিখিত প্রমাণপত্রও তার কাছে আছে বলে জানিয়েছেন।
কাকতালীয় ভাবে ব্রাদার্সের অধিনায়কের নামও মিজানুর রহমান। গতকাল মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি ‘‘আমাদের এখনও শেষ দুই মৌসুমের টাকা পাই। প্রতি মৌসুমের ৭০ ভাগ করে টাকা পাই। চার সিজন টাকা দেওয়ার কমিটমেন্ট ছিল বরিশালের মালিকের। ক্লাব বলে তিনি টাকা দেননি। মিজানুর রহমানের কাছে গেলে, তিনি বলেনে ক্লাবের কাছে যেতে। ক্রিকেট বোর্ডকেও বলেছি, কিন্তু কোনো সুরাহা হয় না। এদিকে তৃতীয় বছরও শুরু হলো।” ব্রাদার্সের ক্রিকেটাররা ২০২২ ও ২০২৩ মৌসুমের বকেয়া পারিশ্রমিকের দাবি জানাচ্ছেন।
এদিকে ব্রাদার্স ইউনিয়নের সহকারী ম্যানেজার ও ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) সমন্বয়ক আমিন খান ব্যাপারটিকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘‘আমাদের গত বছর বাজেট ছিল ২ কোটি ২৪ লক্ষ টাকার প্লেয়ার, অন্যান্য মিলিয়ে আড়াই কোটির মতো। ক্লাব থেকে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক দিয়েছি ১ কোটি ১৪ লাখ টাকার মতো। সেখানে মিজান সাহেব এক টাকাও পেমেন্ট করেননি।”
এদিকে শনিবার বরিশালের ম্যাচ শেষে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মিজানুর রহমান সব অভিযোগ প্রত্যাখান করেছেন, ‘‘এটা তিন বছর আগের ঘটনা। আমি ব্রাদার্স থেকে এবং সিসিডিএম থেকে তিন বছর আগে অব্যাহতি নিয়েছি। কাউন্সিলরশিপ প্রত্যাহার করেছি। তাদের সঙ্গে তিন বছর ধরে লেনদেন দূরে থাক, কথাবার্তাই হয় না।”
এছাড়া পাওনা টাকার চেয়েও বেশি টাকা দেওয়ার দাবি করেছেন ফরচুন বরিশাল মালিক, ‘‘মল্লিক ভাই (বিসিবি পরিচালক ইসমাইল হায়দার) আমাকে বলেছিল ওদের এক কোটি টাকা দিতে। আমি ওদের এক কোটি চল্লিশ লাখ টাকা দিয়েছি। আমি বেশি দিয়েছি। এখন খেলোয়াড়রা না পেলে তো আমার কিছু করার নেই। সমস্যা হচ্ছে, খেলোয়াড়দেরকে ব্রাদার্স টাকা দেয় না।”
এদিকে ব্রাদার্স ইউনিয়ন থেকে ক্রিকেটারদের দেয়া একটি চেক বাউন্সও হয়েছে ইতিমধ্যে। কিন্তু ক্রিকেটাররা সমঝোতার আশায় চেক বাউন্সের মামলা করছেন না। চেকটিতে মিজানুর রহমানের সই ছিল না, সই ছিল আমিন খানের।