অর্থনীতি যে সংকটে, তা নিয়ে দ্বিধা নেই অর্থনীতিবিদসহ কারও মনে। তার মধ্যেই নতুন অর্থবছরের সরকারি ব্যয়ের ফর্দ দিতে যাচ্ছেন নতুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
মূল্যস্ফীতির পারদ চড়ছে, সরকার তা নামিয়ে আনার নানা উদ্যোগের কথা বললেও তার সুফল মিলছে না। ডলার সংকট কাটছে না বলে রিজার্ভ আছে টানটান অবস্থায়। বৈদেশিক মুদ্রা ধরে রাখতে গিয়ে আমদানিতে কড়াকড়ির কারণে ব্যবসায় চলছে স্লথগতি। যার প্রভাবে রাজস্ব আয়ে পড়ছে বড় ঘাটতি।
অর্থ সংকটে ঠিকমতো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারছে না সরকার। অন্যদিকে সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে ডলারে বৈদেশিক ঋণের কিস্তি শোধের। ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিতে গিয়ে আইএমএফের শর্তের জালেও পড়েছে সরকার।
বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন সহজেই উৎরে যাওয়া আওয়ামী লীগকে নতুন সরকারের প্রথম বাজেট দিতে গিয়ে এমন কঠিন পরিস্থিতির মুখে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট দিতে হচ্ছে।
শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষে এই বাজেট প্রণয়নের দায়িত্ব পড়েছে মাহমুদ আলীর ওপর। কর্মজীবনে ঝানু কূটনীতিক হিসাবে পরিচিতি নিয়ে আওয়ামী লীগের ২০১৪ সালের সরকারে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামাল দিয়ে আসার পর এবার পেয়েছেন অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব।
তিনি বৃহস্পতিবার প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব নিয়ে হাজির হচ্ছেন সংসদে। এটা তার প্রথম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম, বাংলাদেশের ৫৪তম বাজেট।
‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’- এমন স্লোগান নিয়ে বাজেট প্রস্তাব তৈরি করেছেন মাহমুদ আলী; তিনি বলেছেন, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার একটি প্রতিচ্ছবি বাজেটে রাখার চেষ্টা করছেন তিনি।
অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলছেন, “প্রথমে স্বীকার করে নিতে হবে- আমরা ভালো নেই। আমাদের অর্থনীতি ভালো নেই। তাই অর্থনীতির স্বাস্থ্য আগে ভালো করতে হবে। আর সেটা এই বাজেটের মাধ্যমেই করতে হবে।”
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানা যাচ্ছে, আগের বছরগুলোর তুলনায় এবারের বাজেট খুব একটা বাড়ছে না।
অতীতে দেখা গেছে, নতুন বাজেট আগের বছরের চেয়ে ১২ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। গত বছরের ১ জুন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছিলেন, যা ছিল আগেরটির তুলনায় ১২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। বিশাল সেই বাজেটে ঘাটতি ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
চলতি বাজেটের তুলনায় এবার মাত্র ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ বাড়িয়ে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের ফর্দ তৈরি করেতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।
সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, নানা চাপের মধ্যে সংকট সামাল দিয়ে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারই হবে এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য। আর এ লক্ষ্যে নতুন বাজেটে খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ঘাটতি রোধ, রাজস্ব আদায় বাড়ানো এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ ও কৃষকদের জন্য সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে জোর দেওয়া হবে।
বৈশ্বিক এবং স্থানীয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে ব্যয় সাশ্রয়ে গুরুত্ব দিয়ে ২০২৪–২৫ অর্থবছরের জন্য মাহমুদ আলী ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকার বাজেট দিতে যাচ্ছেন; যা জিডিপির ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা যায়, এবারের বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। বিদায়ী বাজেটে এ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ লাখ কোটি টাকা।
এবার এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে কর রাজস্ব থেকে এনবিআরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। পরে ঘাটতির কারণে ২০ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়। ফলে সংশোধিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা।
আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, আগামী অর্থবছরে সরকারের ৪ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার কর রাজস্ব আদায় করতে হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছর পর্যাপ্ত তহবিল সংকট ও কৃচ্ছ্র সাধনের অংশ হিসেবে বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কাটছাঁট করা হয়। তারপরও কাঙ্ক্ষিত হারে বাস্তবায়ন হয়নি।
আসছে অর্থবছরেও সরকার প্রয়োজনের বাইরে কোনও প্রকল্প অনুমোদন দিতে চায় না। এমনকি বড় বড় প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রেও রক্ষণশীলতা বজায় রাখা হবে। এমন বাস্তবতায় আসছে এডিপির আকার ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। আগের এডিপি থেকে মাত্র ২ হাজার কোটি টাকা বেশি।
নতুন বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি (অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি) ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
বিদায়ী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ধরেছিল সরকার। তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সাত মাসের (জুলাই-জানুয়ারি) হিসাব কষে প্রাথমিক যে তথ্য দিয়েছে, তাতে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ অর্জনের কথা বলা হয়েছে।
এবারের বাজেটে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৬ শতাংশে আটকে রাখার লক্ষ্য ধরতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী। বিদায়ী বাজেটে ৬ শতাংশে আটকে রাখার লক্ষ্য ধরেছিলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কিন্তু সে আশা পূরণ হয়নি। গত ১৫ মাস ধরে অর্থনীতির স্পর্শকাতর এই সূচক ৯ শতাংশের উপরে অবস্থান করছে।
পরিসংখ্যান ব্যুরো সোমবার মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, ১২ মাসের গড় হিসাবে (২০২৩ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের মে) দেশে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে (২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের মে) গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
এমন বাস্তবতায় মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে দেশের মানুষকে স্বস্তি দেওয়াই অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলীর প্রধান দায়িত্ব হবে বলে মনে করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা হিসাবে দুটি বাজেট দেওয়া এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম।
তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমরা দেখতে চাই, অর্থমন্ত্রী নতুন বাজেটে এমন পদক্ষেপ নেবেন, যাতে মূল্যস্ফীতি ২০২১-২২ অর্থবছরের মতো ৬ শতাংশে নেমে আসে।”
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলছেন, মূল্যস্ফীতি নামিয়ে আনার ওপরই তারা সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছেন।
তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “মূল্যস্ফীতি সহনীয় মাত্রায় নামিয়ে এনে অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাই হবে আমাদের এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য।
“তবে একটা কথা সবাইকে মনে রাখতে হবে যে বিশ্বজুড়েই উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। তুরস্কে মূল্যস্ফীতির হার ৬০ শতাংশের বেশি। আমাদের এখনও ১০ শতাংশের কম আছে। আগামী অর্থবছরে আমরা যে কোনও মূল্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করছি।”
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মোট আয় প্রাক্কলন করা হচ্ছে ৫ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। এ আয়ের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা।
প্রায় ২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে বাজেট ঘাটতি মেটানোর পরিকল্পনা সাজিয়েছেন মাহমুদ আলী। এর মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকার বিদেশি ঋণ এবং বাকি ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা দেশের ব্যাংকিং খাত ও অন্যান্য উৎস থেকে ঋণ দেওয়া হবে।
নতুন বাজেটে সরকারের পরিচালন ব্যয় ধরা হচ্ছে ৫ লাখ ৩১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৪ লাখ ৭৫ হাজার ২৮১ কোটি টাকা।
নতুন বাজেটে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বা রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা বলেন, “ব্যাংক খাতসহ আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিভিন্ন কৌশল বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যার সুফল আমরা পেতে শুরু করেছি। সব মিলিয়ে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারই হবে আমাদের এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য।”
রাজস্বে উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা
ব্যবসায়ীরা যখন গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট, ব্যাংকের সুদহার বৃদ্ধি, ডলারের বাড়তি দামের ফলে ব্যয় বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে অনেক শিল্প বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তখন আগামী অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েছে।
৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার প্রাক্কলিত লক্ষ্যমাত্রা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি।
বিদায়ী অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ২ লাখ ৮৯ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।
তবে এই রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলেও অর্থবছরের শেষ দুই মাসে অর্থাৎ মে-জুন মাসে এক লাখ ২০ হাজার ৬২২ কোটি টাকা আদায় করতে হবে সরকারের রাজস্ব আদায়কারী প্রধান সংস্থা এনবিআরকে।
লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সরকারের পর্যাপ্ত রাজস্ব আহরণ না হওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে গ্যাস-বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন খাতের ভর্তুকি পরিশোধ করতে পারছে না সরকার। এ বছর সুদবাহী বন্ড ইস্যু করে স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর (আইপিপি) ৬ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে এখনও বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর সরকারের কাছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।
এছাড়া সার আমদানির ভর্তুকির অর্থও বন্ড ছেড়ে পরিশোধ করেছে সরকার। সরকারের নিয়মিত ব্যয় মেটাতে গিয়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়েও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে ঋণ নিয়েছে সরকার। ফলে সরকারের ব্যাংকঋণের পরিমাণ বেড়ে গেছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে ঋণের সুদ পরিশোধে বরাদ্দ ছিল ৯৪ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা। তবে উচ্চ সুদে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার কারণে সংশোধিত বাজেটে তা ১ লাখ ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে সুদব্যয়ের জন্য অতিরিক্ত ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।
দেশের ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমরা চাই ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট। আশা করি সরকার সে রকমই একটি বাজেট দেবে। বাজেট এমন হওয়া উচিৎ, যাতে সরকারও রাজস্ব পায়, আবার আমাদের শিল্পও সুরক্ষিত থাকে।”
ঘাটতি
বিদায়ী অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি প্রাথমিকভাবে জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ ধরা হয়েছিল। তবে সংশোধিত বাজেট ৭ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকায় নির্ধারণে ঘাটতি কমে জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ ঘাটতি জিডিপির সাড়ে ৪ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ধরছেন অর্থমন্ত্রী।
নতুন বাজেট নিয়ে সতর্কতার কথা শুনিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান মনসুর।
সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “আমরা অনেক ভুল করেছিলাম; যার মাশুল এখন দিতে হচ্ছে অর্থনীতিকে। এখন আর ভূল করা যাবে না। ভেবেচিন্তে সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর এ সবের প্রতিফলন হতে হবে নতুন বাজেটে।
“বাজেটটা অবশ্যই ছোট হতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমাদের এখন জিডিপি প্রবৃদ্ধির দিকে না তাকিয়ে অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আর সেটা বাজেটের মাধ্যমে করতে হবে।”
আহসান মনসুর বলেন, “আমি মনে করি, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি যদি ৫ শতাংশও হয়, তাতেও কোনও সমস্যা নেই। অর্থনীতিকে সঠিক রাস্তায় আনাই হবে আমাদের প্রধান কাজ।”