নিয়মিত কর না দিলে কমিউনিটি সেন্টার বা কনভেনশল হল ভাড়া নিয়ে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করা যাবে না। এবারের বাজেটে কর আদায় বাড়াতে এমনই এক প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
এ প্রস্তাবনা অনুযায়ী, বেশি ভাড়া এমন কমিউনিটি সেন্টার বা কনভেনশন হল ভাড়া নিয়ে বিয়ে, জন্মদিন বা অন্য কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান করতে গেলে আয়কর রিটার্ন জমার রসিদ লাগবে। টিআইএন বা কর সনাক্তকরণ নম্বর থাকলেও হবে না। কর প্রদানের রসিদ দেখাতে হবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ শর্ত যোগ করেছেন অর্থমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন তিনি।
ঠিক কত ভাড়া হলে কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নিতে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে সে বিষয়ে প্রস্তাবনায় কিছু বলেননি অর্থমন্ত্রী।
এনবিআর সূত্র বলছে, কোনও কমিউনিটি সেন্টার বা মিলনায়তনের ভাড়া ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে কিংবা ১০০ জনের বেশি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন হলেই রিটার্ন জমার অনুলিপি দেখানোর শর্ত প্রযোজ্য হতে পারে।
প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, এখন থেকে বিয়ের জন্য কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নিতে লাগবে আয়কর রিটার্ন জমার রসিদ। সাধারণত বিয়ে, বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিন, গায়ে হলুদ, সুন্নতে খাতনাসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সভা, সেমিনার, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করতে কমিউনিটি সেন্টার ও মিলনায়তন ভাড়া করা হয়। এখন থেকে বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমার রসিদ ছাড়া মিলনায়তন ভাড়া করা যাবে না।
বর্তমানে ৪৩ ধরনের সেবা পেতে রিটার্ন জমার রসিদ লাগে। এই তালিকায় মিলনায়তন ভাড়া, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নিবন্ধন ও নবায়নে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা যুক্ত করারও প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
বর্তমানে আয়কর আইনে কোনও করদাতার দেশে-বিদেশে ৪০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ থাকলে; ফ্ল্যাট বা বাড়ি-গাড়ি থাকলে কিংবা তিনি কোনও কোম্পানির পরিচালক হলে তাকে প্রতিবছর জীবনযাত্রার খরচ জানাতে হয়। সেখানে একটি খাত আছে, যেখানে উৎসব ও অন্যান্য বিশেষ খরচের কথা জানাতে হয়। বিয়েশাদি, বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিন এসব অনুষ্ঠানের খরচ এই খাতে লিখতে হয়।
এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করে এসব অনুষ্ঠান করা হলে পরে রিটার্নের সঙ্গে তা যাচাইবাছাই করা সহজ হবে। জীবনযাত্রার সঙ্গে আয়ের সঙ্গতি আছে কি না, তা জানা যাবে।