ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শুক্রবার বিকালে বাজেটপরবর্তী সংবাদ সম্মেলন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে অর্থমন্ত্রী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা নিয়ে তার বক্তব্য তুলে ধরেন। এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। কোনও কোনও সাংবাদিক তাকে একাধিক প্রশ্ন করেন। এমনও হয়, অর্থমন্ত্রী এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার আগেই আরেক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করতে শুরু করেন।
এমন প্রেক্ষাপটে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বার বার একটা করে প্রশ্ন করতে বলেন। বলেন, একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবের পর আরেকজন সাংবাদিককে প্রশ্ন করতে।
এক পর্যায়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “এটা তো নিয়ম না। কোথাও এটা করা হয় না। আপনি অপেক্ষা করেন, আপনার পালা আসলে আপনি প্রশ্ন করবেন।”
সংবাদ সম্মেললের শেষ দিকে সাংবাদিকদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাকে একটি বিষয় বলতেই হবে। শেষ প্রশ্নটা ভালো প্রশ্ন ছিল। গুরুতর (সিরিয়াস) প্রশ্ন। আমি দেখলাম, বেশিরভাগ প্রশ্নই ছিল খুবই অপরিপক্ক।”
এসময় তিনি বাজেট প্রস্তাবনার বইটি হাতে নিয়ে বলেন, “এই যে বইটা আমরা দিয়েছি, পড়েন নাই? আমি খুবই দুঃখিত। আপনাদের লেভেল অব ম্যাচিউরিটি দেখে খুবই নিরাশ।
“দুই একজন অনেক ভালো প্রশ্ন করেছেন। তবুও আমি সবাইকে ধন্যবাদ দেব। আপনারা অনেক আগ্রহ দেখিয়েছেন। কিন্তু এই আগ্রহ পরিণত হতে হবে। পড়ালেখা করতে হবে। বইটি দয়া করে পড়বেন।”
সংবাদ সম্মেলনের মাঝামাঝি সময় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, “অর্থমন্ত্রী আপনি অর্থনীতির শিক্ষক, কূটনীতিক ছিলেন। আপনার কাছ থেকে আমরা একটি বৈশ্বিক মানের বাজেট আশা করেছিলাম। আমার কাছে মনে হয়, পরিবর্তিত সময় আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। আমি গাণিতিকভাবে হিসাব করে দেখলাম আমাদের বাজেটের আকার বেড়েছে এবার ৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ। যেটা আমাদের সরকারের ঘোষিত মূল্যস্ফীতির চেয়ে অর্ধেক কম। অর্থ হচ্ছে, আপনি যে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) টার্গেট করেছেন, সেই জিডিপি প্রবৃদ্ধি টার্গেটের চেয়ে কম। সারা পৃথিবীতে মূল্যস্ফীতি রাজনীতিকদের শত্রু। আমরা দেখেছি সরকারের অর্থায়নে চলা গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস বলছে, সরকার যে ৯ শতাংশ মূল্যস্ফীতির কথা বলছে তা নয়, এটা আসলে ১৫ শতাংশ। আমি ধরলাম যে, গত দুই বছরে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ৩৭ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ টাকায় আমি যদি অর্থনীতি মাপি তাহলে আমাদের অর্থনীতি ছোট হয়ে গেছে। এই ১৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি বয়ে বয়ে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ দরিদ্র হয়ে গেছে। অর্থাৎ মানুষগুলোকে যদি অর্থনীতির ইউনিট হিসেবে ধরি তাহলে মানুষগুলো ছোটো হয়ে গেছে অর্থনৈতিকভাবে। এই যে ছোট হয়ে যাওয়া অর্থনীতির আকার, ছোট হয়ে যাওয়া মানুষকে কবে বড় করতে পারবেন আপনারা? আপনারা কি আমাদের আশ্বাস দিতে পারবেন কবে আমরা আবার ভালো অবস্থানে যেতে পারব?”
এই প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী ওই টেলিভিশনের নাম উল্লেখ করে বলেন, “আমি আরও বেশি পরিপক্ক প্রশ্ন আশা করেছিলাম। আমি খুবই নিরাশ হয়েছি। যাই হোক …।”
এসময় ওই সাংবাদিক দর্শক সারি থেকে কিছু একটা বলতে চেষ্টা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আরে বাবা আমি একটা উত্তর দিচ্ছি, আমাকে আটকাচ্ছেন কেন? আপনাকে তো আমি আটকাইনি। (আপনাকে) ইচ্ছামতো বলতে দিয়েছি।
“এখন আমারটা তো শুনতে হবে আপনাকে। আপনি অতিসরলীকরণ জিনিসটা খুবই রপ্ত করে ফেলেছেন। এগুলো তো ওভার সিম্লিফিকেশন। এইভাবে অর্থনীতি চলে নাকি? আমরা ছোট হয়ে গেছি? আমাদের সব শেষ? (ধমকের সুরে) কোথায়? আরেকটু পড়ে-টড়ে আসবেন। এইভাবে অতিসরলীকরণ করবেন না।”
সংবাদ সম্মেলনে প্রথম সারির একটি ইংরেজি দৈনিকের সাংবাদিক অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, “আপনি বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন অর্থবছরের মাঝামাঝি গিয়ে পলিসি কিছুটা পরিবর্তন করবেন। তার অর্থ, সম্প্রসারণমূলক। তখন আপনি কী পদক্ষেপ নেবেন? এছাড়া বাজেট নিয়ে যারা সমালোচনা করেছেন, তারা বলেছেন (বিদেশি মুদ্রার) রিজার্ভ এবং মূল্যস্ফীতির সংকট আপনি স্বীকার করেছেন। কিন্তু এখান থেকে আমরা কীভাবে বের হব- এটা আপনার বাজেট বক্তৃতায় নেই।”
এই প্রশ্নের উত্তরে উষ্মা প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আসুক সময়টা, আসুক। তখন বলব। নদীটা আসুক, তখন পার হব।”
এর আগে একটি জাতীয় দৈনিকের প্রধান প্রতিবেদক প্রশ্ন করতে গিয়ে বড় ধরনের ভূমিকা টানেন। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর জন্য বাজেট উপস্থাপনের জন্য অর্থমন্ত্রীকে অভিবাদন জানান। পদ্মাসেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগের প্রশংসা করতে শুরু করেন।
তিনি বলেন, “যখন পদ্মাসেতু থেকে বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন এবং আমাদের আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে দেন।”
এসময় সাংবাদিকদের অনেকে তাকে ‘টু দ্য পয়েন্ট’ প্রশ্ন করতে বলেন। কেউ কেউ বলেন, “দালালি বন্ধ করেন।”
এমন পরিস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “দেখুন আপনারা আপনাদের সহকর্মীকে বাধা দিচ্ছেন। তাকে প্রশ্ন করতে দেন।”
এরপর আবার ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করার সুযোগ পান।
তখন তিনি বলেন, “এই যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বধীন সরকার পদ্মাসেতু নির্মাণ করে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে, এই বাজেটের আমরা অনেক কিছু জানি। কিন্তু সাধারণ মানুষ একটা বিষয় বোঝে, সেটা হলো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর অর্থ মন্ত্রণালয়সহ একাধিক মন্ত্রণালয় এটি কমানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা দেখি মাঠ পর্যায়ে এটি সেই পর্যায়ে কমেনি। বাজেট ঘোষণার আগেই আমরা দেখেছি বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে। বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু তার প্রতিফলন কাঙ্ক্ষিতভাবে আমরা দেখি না, সমন্বয়ের অভাবে। আমি প্রশ্ন রাখব, বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো হবে কিনা?”
এই প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, “সমন্বয় তো আমরা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। সবাই মিলে কাজ করতে চেষ্টা করছি। সাংবাদিকরা তো আমাদের সাহায্য করছে। এটা কী ধরনের প্রশ্ন করলেন যে, সমন্বয় করা হবে কিনা? অবশ্যই সমন্বয় করা হবে।”
অর্থমন্ত্রীর এই জবাব শুনে সাংবাদিকদের অনেকেই উচ্চস্বরে হাসাহাসি শুরু করেন।
এরপর এক নারী সাংবাদিক প্রশ্ন করেন কর ন্যায্যতা নিয়ে।
তিনি বলেন, “যখন কর ব্যবস্থায় বৈষম্য থাকে, তখন এটা আয়কর দাতাদের জন্য ডিজইনসেন্টিভ হয়। আমরা গতবার দেখেছি বেসরকারি খাতের প্রভিডেন্ড ফান্ডের ওপর ট্যাক্স বসানো হয়েছে। কিন্তু সরকারি খাতের প্রভিডেন্ড ফান্ডে ছিল জিরো। আমি আপনাকে সাধুবাদ জানাই, আপনি সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন। আমার কাছে মনে হয়, একজন নীতিপ্রণেতা যদি গাড়ি আনতে শুল্ক সুবিধা পান, তাহলে সাধারণ জনগণ পাবে না কেন? সাধারণ জনগণকে যদি গাড়ি আনতে ৫০০-৬০০ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়, তাহলে নীতিপ্রণেতারা কেন নিজেদের জন্য একটি বৈষম্যমূলক নীতি তৈরি করবেন। আরেকটি বিষয়, অর্থপাচার নিয়ে … ।”
এসময় অর্থমন্ত্রী বলে বসেন, “আপনার প্রশ্নটা তো হারিয়ে গেল। এরপর কী হলো?”
তখন ওই সাংবাদিক বলেন, “আমার প্রশ্নটা কর ন্যায্যতা নিয়ে।”
এসময় অর্থমন্ত্রী বলেন, “আপনি নিজেই উত্তর দিয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি। দেখা যাক।”
প্রশ্নোত্তর পর্বের শুরুতে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা অর্থমন্ত্রীকে বলেন, “আপনি জানেন বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। এখানে যেসব সাংবাদিক রয়েছেন তারা সবাই ইআরএফের সদস্য। আমরা নৈতিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করতে পারি না। এ কারণে আমরা আপনার (অর্থমন্ত্রী) সংবাদ সম্মেলন কাভার করব। তবে গভর্নর কোনও বক্তব্য দিলে তা আমরা বয়কট করব।”
তার এসব কথার কোনও জবাব দেওয়া থেকে বিরত থাকেন অর্থমন্ত্রী। এসময় অর্থমন্ত্রী ওই মঞ্চে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারকে একে অপরের দিকে তাকাতে দেখা যায়। কিন্তু তারা সাংবাদিকদের কিছু বলেননি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে অর্থমন্ত্রীর বিরক্তি প্রকাশ নিয়ে সাংবাদিকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেক সাংবাদিক অপরিপক্ক প্রশ্ন করাকে ‘নেতিবাচক’ হিসেবেই উল্লেখ করেন। তারা এর সমালোচনা করতে করতে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
কেউ কেউ অর্থমন্ত্রীর এভাবে সাংবাদিকদের পরামর্শ দেওয়ার নিন্দা করতে থাকেন। তারা বলছিলেন, অনুষ্ঠানটি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করছিল, ফলে এ পরিস্থিতি সাংবাদিকদের জন্য অস্বস্তিকর।
সংবাদ সম্মেলনে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, “এনবিআর চেয়ারম্যান বললেন, আমাদের দেশে কালো টাকা অর্থনীতিতে ব্যবহার হয় না। বিদেশে পাচার হয়ে যায়। ব্যাংকিং খাতেও দুর্নীতি আছে, সুশাসনের অভাব আছে। এই সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপনার দৃঢ় কোনও পদক্ষেপ বা বার্তা বাজেটে দেখিনি। যারা আর্থিক খাতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের কেন কোনও বার্তা দিচ্ছেন না। আপনার ওপর কি কোনও চাপ আছে?”
এর আগে এক সাংবাদিক ‘সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ১৫ শতাংশ কর দিয়ে সব অবৈধ সম্পদ বৈধ করতে পারবেন কি না’-এমন প্রশ্ন করেন।
এমন প্রেক্ষাপটে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা তো বলছি, সে (বেনজীর) এক সময় আমাদের লোক ছিল। আমরা তো কোনও রাখঢাক করিনি। তো আপনি খালি ঘুরে ফিরে ওই একই কথায় যাচ্ছেন কেন? এটা তো বুঝতে পারলাম না। এটা কী ধরনের প্রশ্ন? কীভাবে প্রশ্ন করতে হয়- এগুলো একটু শিখতে হবে আপনাদের। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে- এটা কোনও জার্নালিজম না। খালি এক কথা ঘুরে ফিরে বলেন এবং অতিসরলীকরণ। এভাবে চলে নাকি? সমাজ-সংসার এভাবে চলে? কোথাও চলে না। এগুলো দেখেন। দেখে একটু শেখেন। তাহলে আমাদেরও কাজ করতে সুবিধা হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরেকটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক অর্থমন্ত্রীকে বলেন, “আপনি সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ আগের থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়েছেন- এটা সত্য। কিন্তু একটি বিষয় খুব আলোচনা হচ্ছে যে, আপনি সামাজিক নিরাপত্তায় অনেক খাত নিয়ে এসেছেন, যা এ খাতের মধ্যে পড়ে না। যেমন- পেনশন ও সঞ্চয়পত্রের সুদ। আপনি তো খুব সজ্জন মানুষ। আপনি কেন সামাজিক নিরাপত্তার বরাদ্দ বাড়াতে এই গোঁজামিল দিলেন?”
এই প্রশ্নের সঙ্গে ওই সাংবাদিক অর্থবছর শেষে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার কীভাবে করবেন তা জানতে চেয়ে বলেন, “আপনি কি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে এমন কোনও দায়িত্ব দিচ্ছেন কিনা, যেভাবে টাকা ছাপে, ওইভাবে ডলারও ছাপাতে?”
জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমার প্রথমিক জবাব হলো- এটা একটি নন-সিরিয়াস প্রশ্ন। এই প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার যোগ্য নয়।”
এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানকে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
মসিউর রহমান বলেন, “আমি কিছুটা বিব্রত হয়ে বলছি, অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলো আপনার কোনও টান আছে কিনা, যারা অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন তাদের ওপর। আবার পরে বলা হলো- আপনি কেন এই গোঁজামিল দিলেন। গোঁজামিল না, আপনি যদি আগের বাজেটের হিসাব দেখেন, আগের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে যে যে বিষয় ছিল এবারও তা রাখা হয়েছে। এগুলো অর্থমন্ত্রী নতুন করে সংযোজন করেন নাই। সরকারের পেনশন তো এই মুহূর্তে যে কাজ করছে, তার জন্য নয়। দীর্ঘদিন কাজ করেছে, এ জন্য দেওয়া হচ্ছে। এটা তো অর্থমন্ত্রী নিজে কিছু করেননি।”