বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) মধ্যরাতে ছাত্রলীগ নেতাদের প্রবেশ নিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তৃতীয় দিনের মাথায় সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী সকাল সন্ধ্যাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৯ সালে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালায়। এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা পাঁচ দাবি বুয়েট প্রশাসনকে লিখিত আকারে জানান।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর ঘটনায় বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের হলের সিট বাতিল করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। পাশাপাশি বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন ও রিপোর্ট পাওয়ার পর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এই প্রেক্ষাপটে বুয়েটের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দ্বিতীয় দিনের আন্দোলনে সমাপ্তি টেনে রবিবার সকাল ৮টা থেকে ফের আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছিল।
অন্যদিকে বুয়েট ক্যাম্পাসে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি করতে চায় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। এ লক্ষ্যে শনিবার এক বিবৃতিতে রবিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকাল ১১টার দিকে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয় ছাত্রসংগঠনটি।
এমন পরিস্থিতিতে রবিবার সকাল থেকেই বুয়েট এলাকায় পুলিশি পাহারা দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি প্রবেশদ্বারে জোরদার করা হয় নিরাপত্তা। তবে সকাল ৮টা থেকে বুয়েটের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নামার কথা থাকলেও তাদের দেখা মেলেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমাদের আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “গতকাল (শনিবার) বিকাল ৪টায় ভিসি স্যারের সঙ্গে আমাদের দেখা হয়েছে। স্যার সব দাবি মেনে নিতে সম্মত হয়েছেন। কাল অফিসের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় আপনাদের আর জানানো হয়নি।”
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, “আন্দোলনটা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। আজও ভিসি স্যারের সঙ্গে একদফা মিটিং আছে। মিটিং শেষে সামগ্রিক একটা ব্রিফ হতে পারে। তবে সেটা এখনও ঠিক হয় নাই।”
