Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

ছাত্রলীগের প্রচার-প্রসারে ব্যারিয়ার আছে, খেয়াল রাখুন : মাহফুজ আলম

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তার সঙ্গে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম (বাঁয়ে) ও প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি : পিআইডি
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তার সঙ্গে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম (বাঁয়ে) ও প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি : পিআইডি
[publishpress_authors_box]

সরকারের নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করা আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সংবাদ প্রচারে আইনি বাধা আছে জানিয়ে এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে সংবাদমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় পরিবেশ বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) অনুযায়ী বুধবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে সরকার।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার জন্য কারণ হিসেবে হত্যা, নির্যাতন, গণরুম কেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।

নিষিদ্ধ হওয়া সংগঠন ছাত্রলীগের সংবাদ প্রচারে সংবাদমাধ্যম যাতে ভূমিকা না রাখে সে আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মাহফুজ বলেন, “ছাত্রলীগের প্রচার-প্রসারে আইনগত ব্যারিয়ার আছে। আপনারা যারা সংবাদমাধ্যমে আছেন, তারা এই দিকটা একটু খেয়াল রাখবেন যাতে সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রচারে আপনারা ভূমিকা না রাখেন।”

ছাত্রলীগের অনেকে এখনও মাঠে আছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না কেন– জানতে চাইলে মাহফুজ বলেন, “যারা দোষী, সন্ত্রাসী তাদেরও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা মব জাস্টিজের পক্ষে না। মামলা অনুযায়ী তাদের গ্রেপ্তার করে বিচার কাজ চলবে।”

ছাত্রলীগ ছাড়াও আর কোনও সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হবে কি-না জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “সংবাদপত্রে ছাত্রলীগকে নিয়ে অনেক নিউজ হয়েছে। আমরা সকলে প্রত্যক্ষ করেছি– নিরাপদ সড়ক রক্ষার আন্দোলন থেকে শুরু করে যে কয়টি ছাত্র আন্দোলন হয়েছে, সবখানে আমরা ছাত্রলীগকে একটি সন্ত্রাসী ভূমিকায় দেখেছি। তখন যারা ক্ষমতায় ছিল তারা বলেছে– এদেরকে (আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের) ম্যানেজ করার জন্য ছাত্রলীগই যথেষ্ট।

“ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী কায়দায় আন্দোলন দমন করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। তাদের নিষিদ্ধ করার আরেকটি কারণ হচ্ছে– জুলাই গণহত্যার পরে তারা থেমে গেছে তা নয়। আদালত থেকে তারা বেশ কয়েকবার দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। বর্তমানের প্রাধিকার বিবেচনায় আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। অন্য কোনও রাজনৈতিক সংস্থাকে নিষিদ্ধ করার কোনও আলোচনা হয়নি। সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার বিষয়টি আলোচনা হয়নি।”

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লাগাম টানতেই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, পলাতক বা নিখোঁজ থাকলেও বিচার হবে।

সংবাদপত্রে হামলার বিষয়ে মাহফুজ আলম বলেন, “কয়েকটি সংবাদপত্রে হামলার একটা তথ্য আছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমরা শুনেছি। আমাদের দিক থেকে স্পষ্ট ভাষায় আমরা বলে দিতে চাই, সংবাদপত্রের উপরে কোনও ধরনের হামলা এই সরকার বরদাস্ত করবে না। কোনও দিক থেকে যদি আঘাত আসে তবে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত