বিদেশিদের বাড়ি কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও দুই বছর বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। বাড়ির দাম বেশি বেড়ে যাওয়ায় কানাডার নাগরিকদের উদ্বেগ দূর করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
বিদেশি শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের বাড়ি কেনার চাপে কানাডায় দেশজুড়ে নগর-মহানগর ও শহরগুলোতে বাড়ির চাহিদা বেড়ে গেছে। অন্যদিকে, নির্মাণ খরচ বেড়ে যাওয়ায় নতুন বাড়ি তৈরির পরিমাণও কমে গেছে। ফলে একদিকে চাহিদা বেশি, অপরদিকে যোগান কম থাকায় দেশটিতে বাড়ির দাম অনেক বেড়ে যায়।
কানাডার উপ প্রাধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড রবিবার এক বিবৃতিতে বলেন, “কানাডার নাগরিকদের জন্য আবাসন আরও সাশ্রয়ী করার জন্য সম্ভাব্য সমস্ত উপায় ব্যবহারের অংশ হিসেবে বিদেশিদের বাড়ি কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হলো। এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা ছিল, তা বাড়িয়ে ২০২৭ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হলো।”
তিনি বলেন, “কানাডিয়ান পরিবারগুলোর জন্য আবাসন নিশ্চিত করতেই বিদেশিদের বাড়ি কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়েছে।”
কানাডার সরকার বলছে, বিদেশিদের চাপে বাড়ির দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশজুড়ে নগর-মহানগর ও শহরগুলোতে কানাডার নাগরিকেরা বাড়ি কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন।
এর আগে গত মাসে কানাডা দুই বছরের জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা দেওয়ার হার কমানোরও ঘোষণা দেয়। পাশাপাশি পড়াশোনা শেষে কাজের অনুমতি (ওয়ার্ক পারমিট) দেওয়াও কমানোর কথা বলা হয়। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৩৫ শতাংশ কম শিক্ষার্থীকে কানাডার ভিসা দেওয়া হবে।
বিদেশিদের চাপে কানাডার জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ায় দেশটির স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো পরিষেবার ওপরও চাপ তৈরি হয়েছে। বেড়ে গেছে জীবনযাত্রার ব্যয়।
এর সুযোগ নিচ্ছে দেশটির বিরোধী দল। আগামী বছর কানাডায় নির্বাচন। সম্প্রতি কিছু মতামত জরিপে দেখা গেছে, জনপ্রিয়তায় ট্রুডোর থেকে এগিয়ে বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পোইলিভর।