ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকমসহ ছয়টি প্রতিষ্ঠানে অনধিকার প্রবেশ করে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম পার্থ প্রতীমের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন গ্রামীণ কল্যাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ মাঈনুদ্দীন চৌধুরী।
এসময় আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ঢাকার শাহ আলী থানাকে তা এজাহার হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ কে এম সাইফুল মজিদ, মাসুদ আখতার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের ব্যারিস্টার মাসুদ আখতার, মাসুদ আখতার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের কনসালটেন্ট জীম যোবায়েদ, অবসরপ্রাপ্ত লে: কর্নেল মো. জাহাঙ্গীর হাসান, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল রাশেদ আলী।
এছাড়া মামলায় আসামী হিসেবে নাম রয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট জিয়াউর রহমান, নুরুজ্জামান মৃধা, গ্রামীণ ব্যাংকের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের সদস্য রাজু মিয়া, গ্রামীণ ব্যাংকের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের উপদেষ্টা এস আব্দুর রশীদ, সাবেক এনএসআই কর্মকর্তা ও গ্রামীণ ব্যাংকের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের সদস্য রাজু মিয়া মিজানুর রহমান, গ্রামীণ ব্যাংকের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা তানন খান।
গ্রামীণ ব্যাংকের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার সাহা, গ্রামীণ ব্যাংকের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়জুল হক, গ্রামীণ ব্যাংকের উপ-মহা ব্যবস্থাপক মামুনুর রশীদ, গ্রামীণ ব্যাংকের সিনিয়ার প্রিন্সিপাল অফিসার গোলাম জাকারিয়া, হারুন অর রশীদ, তরিকুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল অফিসার গোবিন্দ সাহা ও কৃষ্ণ কান্ত রায়ের নামও রয়েছে মামলার আসামির তালিকায়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২ ফেব্রুয়ারি আসামিরা গ্রামীণ কল্যাণ অফিসে গিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নিজেদের গ্রামীণ ব্যাংক মনোনীত গ্রামীণ কল্যাণের নতুন পরিচালক পরিচয় দিয়ে অপরাধমূলক অনধিকারে টেলিকম ভবনের পঞ্চম ফ্লোরে গ্রামীণ কল্যাণের অফিসে প্রবেশ করে। এরপর তারা কোম্পানির মানহানি ও সংরক্ষিত মূল্যবান নথিপত্র ও আসবাবপত্রের ক্ষতিসাধন করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামিরা টেলিকম ভবনে প্রবেশের সময় দায়িত্বরত গার্ড তাদের পরিচয় জানতে চাইলে আসামিদের একজন নিজেকে ‘কর্নেল রাশেদ’ (আসামী নং-৫) বলে পরিচয় দেন এবং গ্রামীণ ব্যাংক থেকে এসেছেন বলে ধমকের সুরে জানান। তারা দায়িত্বরত গার্ডকে কোনও কথা বলার সুযোগ না দিয়ে গালমন্দ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তারা গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকমসহ গ্রামীণের ৬টি প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে হামলা ও দখলের চেষ্টা করেন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এই বিষয়ে শাহ্ আলী থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ তৎকালীন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিষেধ আছে জানিয়ে তা প্রত্যাখান করে। এছাড়া তৎকালীন সরকারের বিভিন্ন ভয়-ভীতির কারণে মামলা দায়েরে বিলম্ব হয় বলেও উল্লেখ করা হয় অভিযোগে।