Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫

বাইডেন কেন সরছেন না

বাইডেন বলেছেন, তিনি সুস্থ আছেন এবং ট্রাম্পকে পরাজিত করার জন্য তিনিই সেরা প্রার্থী।
বাইডেন বলেছেন, তিনি সুস্থ আছেন এবং ট্রাম্পকে পরাজিত করার জন্য তিনিই সেরা প্রার্থী।
[publishpress_authors_box]

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে ধরাশায়ী হওয়ায় আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে জো বাইডেনের সরে দাঁড়ানো দীর্ঘ সময়ের মিত্রদের কাছেও অনিবার্য বলে মনে হয়েছিল। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির একাধিক সেনেটর এবং এমপি স্পষ্টভাবেই বলেছেন, দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা থেকে তাকে সরে দাঁড়াতে হবে।

দলটির ডোনাররাও এটিকে একটি বিপর্যয় বলে অভিহিত করেছেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এমনকি সংবাদপত্রের কলামিস্টরাও বাইডেনকে মাথা নত করার আহ্বান জানান।

কিন্তু দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও সরে দাঁড়ানো দূরে থাক বরং ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিজেকে সেরা প্রার্থী বলে ঘোষণা করেছেন বাইডেন। সর্বশেষ শুক্রবারও মিশিগান রাজ্যের অন্যতম নির্বাচনী লড়াইক্ষেত্র নর্থভিলে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বাইডেন বলেন, আমি কোথাও যাচ্ছি না, আমি নির্বাচন থাকছি এবং নির্বাচনে আমরাই জিতব।”

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, “আমি সুস্থ আছি এবং ট্রাম্পকে পরাজিত করার জন্য আমিই সেরা প্রার্থী।”

তবে সংবাদ সম্মেলনে ৮১ বছর বয়সী বাইডেন অবশ্য স্বীকার করেন যে, বয়সের কারণে তার কর্মক্ষমতা কমে গেছে। ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে খারাপ পারফরমেন্স করার পেছনেও তিনি বয়সজনিত ক্লান্তিকেই দোষারোপ করেন।

কিন্তু ডেমোক্র্যাটরা বাইডেনের এই কথায় আস্থা রাখতে পারছেন না। বাইডেন তাদের আশ্বস্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন যে, তিনি প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থিতার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরোপুরি ফিট আছেন।

ফলে সামনের দিনগুলোতে হয়তো আরও অনেক ডেমোক্র্যাট নেতা বাইডেনকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলবেন।

কিছু মতামত জরিপেও ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বাড়তে এবং দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোকে রিপাবলিকানদের দিকে ঝুঁকতে দেখা যাচ্ছে।

ফলে প্রশ্ন উঠেছে, কেন বাইডেন এখনও ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করতে পারবেন বলে জোর দিচ্ছেন?

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিভিন্ন নেতা, সহযোগী, কৌশলবিদ ও ডোনারদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এর কারণগুলো গভীরভাবে ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে দলীয় রাজনীতি পর্যন্ত বিস্তৃত।

বাইডেনের নিজের ওপর আস্থা

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা ও মিত্ররা রয়টার্সকে বলেন, বয়স বেশি হওয়া সত্ত্বেও বাইডেন বিশ্বাস করেন, ট্রাম্পকে পরাজিত করার জন্য তিনি নিজেই সেরা ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী। আর এটাই তার প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থিতা থেকে সরে না দাঁড়ানোর সবচেয়ে বড় কারণ।

বাইডেন তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বা অন্য কোনও নেতার মধ্যে দোটানায় থাকা ভোটারদের কাছে টানা বা দোদুল্যমান স্টেটগুলোতে জয়ী হওয়ার ক্ষমতা সম্পর্কেও সন্দিহান।

বাইডেন গত সপ্তাহে এবিসি নিউজের জর্জ স্টেফানোপোলোসকেও বলেছিলেন, “আমি তাকে (ট্রাম্পকে) পরাজিত করার জন্য সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি।” বাইডেন পরে যোগ করেন, শুধুমাত্র ‘সর্বশক্তিমান ইশ্বরই’ তাকে ভিন্নভাবে বোঝাতে পারেন।

ডেট্রয়েটে শুক্রবার একটি প্রচার সভায় সমর্থকদের মাঝে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি : রয়টার্স

বাইডেনের সংগ্রামী ব্যক্তিগত জীবন এবং দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের একটি বড় নীতি হলো অধ্যবসায়। তার ভাষ্যমতে, যা তিনি তার পিতা-মাতার কাছ থেকে শিখেছেন।

বাইডেন বলেন, “আমার বাবা আমাকে সবসময়ই বলতেন, যতবার নিচে পড়বে ততবার উঠে দাঁড়াবে।” ২০০৮ সালে বারাক ওবামার রানিংমেট হিসেবে মনোনয়ন গ্রহণ করার সময় ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে বাইডেন একথা বলেছিলেন।

বাইডেন আরও বলেছিলেন, তার মা তাকে শিখিয়েছেন- “জীবনের কিছু সময়ে ব্যর্থতা অনিবার্য, তবে হাল ছেড়ে দেওয়া ক্ষমার অযোগ্য।”

কিন্তু বাইডেন যত কথাই বলুক, ডেমোক্র্যাটরা তার ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। ডেমোক্র্যাট শিবিরের বড় দাতা হলিউড অভিনেতা জর্জ ক্লুনিও এ সম্পর্কে অনেক ডেমোক্র্যাটদের উদ্বেগের প্রতিধ্বনি করেছেন। বুধবার নিউইয়র্ক টাইমসের এক মতামত কলামে ক্লুনি লিখেছেন, বাইডেনের প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সময় হয়ে এসেছে।

ক্লুনি বলেন, “একটি যুদ্ধে তিনি জিততে পারবেন না, আর তা হলো সময়ের বিরুদ্ধে। আমরা কেউই তা পারি না।”

ঘনিষ্ঠ সহযোগীরাও চান বাইডেন থাকুক

ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে বাইডেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের একটি সূত্র জানায়, বাইডেনের শীর্ষ সহযোগীরাও চান তিনিই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে থাকুক। এটি বাইডেনের সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করেছে।

বাইডেন গত কয়েক দশক ধরেই সিনিয়র সহযোগীদের একটি ছোট গ্রুপকে দিয়ে নিজেকে ঘিরে রেখেছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন, রাজনৈতিক উপদেষ্টা মাইক ডনিলন, কাউন্সেলর স্টিভ রিচেটি ও ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ব্রুস রিডের মতো অভিজ্ঞ লোকরা।

তারা তাকে পূর্ববর্তী সকল সংকটের মধ্য দিয়ে উতরে যেতে সহায়তা করেছেন। এবারও তারা তাকে হাল না ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এমনকি ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের পর থেকে বাইডেনের প্রতি তাদের সমর্থন আরও জোরালো হয়েছে।

হোয়াইট হাউসের সঙ্গে সম্পর্কিত বাইডেনের একজন প্রাক্তন সহযোগী বলেছেন, “আমি শুনেছি যে, স্টিভ, ব্রুস ও মাইক বাইডেনের প্রার্থিতার ব্যাপারে তার নিজের চেয়েও বেশি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাইডেনের প্রার্থিতার ওপর তারা শেকড় গেড়ে বসেছেন এবং নড়ছেন না।”

হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তাও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, বাইডেনের জ্যেষ্ঠ কর্মীরা সকলেই চান বাইডেনই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে থাকুক।

জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা অনিতা ডানসহ বাইডেনের অনেক সহকারীর মতে, মিডিয়া তার সঙ্গে অন্যায় আচরণ করেছে। ২০২০ সালে ট্রাম্পকে পরাজিত করার জন্য তিনি যে কৃতিত্ব পাওয়ার যোগ্য তাও তিনি পাননি। গত নির্বাচনের আগেও তাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে এবং তার সমালোচকরা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, বাইডেনের আশেপাশে থাকা আরও অনেকেই এমনটা ভাবেন।

বাইডেনের প্রচারাভিযানের প্রধান জেন ও’ম্যালি ডিলন এবং ম্যানেজার জুলি শ্যাভেজ রদ্রিগেজও বাইডেনকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাদের প্রচারিত একটি মেমোতে বলা হয়েছে, ডেমোক্র্যাটদের জন্য বাইডেনের চেয়ে ভালো কোনও বিকল্প নেই।

তারা লিখেছেন, “জরিপগুলোতে নেতিবাচক মিডিয়া পরিবেশকে বিবেচনায় নেওয়া হয় না, ডেমোক্র্যাট মনোনীত প্রার্থীরা যার মুখোমুখি হন। প্রেসিডেন্ট বাইডেনই একমাত্র ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী যার বেলায় বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।”

কমলা হ্যারিসের উপর আস্থা নেই অনেক ডেমোক্র্যাটের

বাইডেনকে নিয়ে চিন্তিত হলেও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের উপরও ভরসা করতে পারছেন না ডেমোক্র্যাটিক শিবিরের অনেকে। এ কারণেও বাইডেনকে চাইলেই সরিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

নির্বাচিত নেতা এবং কর্মীসহ পেনসিলভানিয়ার প্রায় এক ডজন ডেমোক্র্যাট বাইডেনের মানসিক সুস্থতা এবং ট্রাম্পকে পরাজিত করার ক্ষমতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কমলা হ্যারিসের নেতৃত্বের উপরও তাদের আস্থা নেই।

তাদের ভয়, বাইডেনকে সরিয়ে দেওয়া হলে কমলা হ্যারিসকেই প্রার্থী করতে বাধ্য হতে হবে। কারণ তিনি দেশের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট। তাই তাকেও বাদ দেওয়া যাবে না, কারণ তাহলে ডেমোক্র্যাটরা অনেক ভোট হারাবে। কিন্তু ট্রাম্পকে পরাস্ত করার জন্য তার উপরও ভরসা করা যায় না।

পেনসিলভানিয়ার একজন জেষ্ঠ্য সিনিয়র ডেমোক্র্যাট নেতা বলেছেন, “বাইডেনকে সরালে হ্যারিসকেই প্রার্থী করতে হবে। কিন্তু আমি মনে করি না যে, তাতেও আমাদের জয় নিশ্চিত হবে।”

তবে অনেকের মতে, হ্যারিস দলে নতুন উদ্যম আনতে পারবেন এবং তরুণ ও কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের নতুন করে উজ্জীবিত করতে পারবেন।

কংগ্রেসের ভয় এবং ঐতিহ্য

ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেনের বিতর্কের পরপরই কংগ্রেস তথা যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের ব্ল্যাক ককাস ও হিস্পানিক ককাস উভয়ের নেতারা বাইডেনের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। এতে বাইডেনের প্রতি সমালোচনার গতি ধীর হয়ে আসে।

তাদের সমর্থনের ফলে শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট নেতারা বাইডেনকে সরে দাঁড়ানোর জন্য প্রকাশ্যে চাপ দিতে পারছেন না।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ২১৩ জন ডেমোক্র্যাট সদস্যের মধ্যে মাত্র ১১ জন এবং সিনেটের ৫১ জনের মধ্যে মাত্র একজন বাইডেনেক সরে যাওয়ার জন্য প্রকাশ্য আহ্বান জানান।

তবে প্রতিনিধি পরিষদের একাধিক সদস্য বলেছেন, তাদের বিশ্বাস সামনে আরও অনেকেই বাইডেনকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাবেন। তাদের প্রত্যাশা, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সংখ্যালঘু নেতা হাকিম জেফ্রিস দলের ভেতরে তাকে নিয়ে সমালোচনা সম্পর্কে বাইডেনকে জানাবেন।

ডেমোক্র্যাটিক প্রতিনিধি সেথ মৌল্টন বলেন, “আমি আশা করি আরও অনেকেই ভয় কাটিয়ে সামনে এগিয়ে আসবেন এবং বাইডেনকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাবেন।”

ভুল করে চলেছেন বাইডেন

এদিকে একের পর এক ভুল করে চলেছেন বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ন্যাটোর তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। এদিন সম্মেলনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় বাইডেন একটি ভুল করে বসেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে তিনি ভুলে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলে সম্বোধন করেন। যদিও পরক্ষণেই বাইডেন তার ভুল শুধরে নেন।

পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলেনস্কিও বাইডেনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন। সাবেক কৌতুক অভিনেতা জেলেনস্কি সঙ্গে সঙ্গেই বলে ওঠেন, ‘আমি পুতিনের চেয়ে ভালো।’

উল্লেখ্য যে, ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নেওয়া ইউরোপীয় নেতাদের কেউই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বাইডেনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদে ও ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার স্টাব বলেন, বাইডেন এখনও যথেষ্ট ফিট রয়েছেন। ন্যাটোর অনেক নেতাই চান না ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হোক।

কিন্তু বাইডেন বারবার ভুল করায় তার সুস্থতা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। বৃহস্পতিবার ন্যাটো সম্মেলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের নামও ভুল করেন। তার নামের জায়গায় বাইডেন ট্রাম্প বলে ফেলেন।

সম্মেলনে রয়টার্স বাইডেনের কাছে জানতে চায়, কমলা হ্যারিসের ওপর তার আস্থা আছে কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘দেখুন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা না থাকলে তো আমি ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নিতাম না।’

বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বারবার কাশতে দেখা যায়। সংবাদ সম্মেলনের শুরুর দিকে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় তিনি কথার খেইও হারিয়ে ফেলছিলেন। এমনকি শেষের দিকে তার কথাগুলো খুব একটা স্পষ্টভাবে বোঝাও যাচ্ছিল না।

তবে বাইডেন জোর দিয়ে বলেন, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের হয়ে তিনিই আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত