দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনভর সারাদেশে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে চূড়ান্ত গণনায় এ সংখ্যা বাড়তে বা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ভোটগ্রহণ শেষে রবিবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
সকালে কমিশন শান্তিপূর্ণ ভোট দেখেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “পরে টিভিতে পাওয়া তথ্য দেখে মনে হয়েছে সহিংসতার মতো গুরুতর ঘটনা ঘটেনি। তারপরও যা ঘটেছে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা গ্রেপ্তার করেছি, মামলা করেছি।”
ভোট শেষ : ১৫ মিনিট আগে চট্টগ্রামে প্রার্থিতা বাতিল নৌকার মোস্তাফিজের
এসময় দায়িত্বপালনরত অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দুই নির্বচনী কর্মকর্তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন সিইসি।
সেইসঙ্গে জানান, নির্বাচনী সহিংতায় কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, “কিছু কিছু অভিযোগ এসেছে ব্যালটে সিল মারার। আমাদের মনিটরিং সেল সেটি পর্যবেক্ষণে রেখেছে। আমরা ক্রস চেক করে যখন দেখেছি ঠিক, তখন ব্যবস্থা নিয়েছি। শেষ মুহূর্তে একজনের প্রার্থীতা বাতিল করেছি।”
দেশজুড়ে ভোটগণনা চলছে জানিয়ে সিইসি বলেন, “প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। অর্থাৎ এন্ট্রি হয়েছে যতটুকু সে অনুযায়ী ৪০ শতাংশ। এটি বাড়তে পারে, নাও বাড়তে পারে।”
কে কী বলল তা নিয়ে মাথা ঘামাই না : শেখ হাসিনা
বড় দল নির্বাচন বর্জন করে জনগণকে ভোট থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করায় ভোট কিছুটা কম পড়েছে বলে মনে করেন সিইসি।
তিনি বলেন, “কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যালট সিল মেরেছে। আমরা কিছু ধরেছি, সেগুলোকে চূড়ান্ত গণনা থেকে বাদ দেওয়া হবে। কারণ সেগুলোর পেছনে সিল বা সাইন নেই।”
ভোট পরবর্তী এই সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, আনিছুর রহমান এবং ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।