Beta
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫

এনআইডি সংশোধনে জনগণকে হয়রানি নয়, কর্মকর্তাদের সিইসি

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের জন্য আসা জনগণকে সেবা দিতে যেন বিলম্ব না হয় সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সোমবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে এক কর্মশালায় তিনি এ আহ্বান জানান।

নির্বাচন কমিশনের কিছু কিছু সংকট আছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, “এনআইডি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি হাইলি কমপ্লিকেটেড। আমি সেটা বুঝি না। তবে জনগণ আসলে তাকে সেবা দিতে যেন বিলম্ব না হয়। আমি সরকারি কর্মচারী। যেন হয়রানি না করি, দুর্ব্যবহার না করি, সেটা নিশ্চিত রাখতে হবে।”

জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে অনেকে অভিযোগ করেন জানিয়ে তিনি বলেন, “পরিবর্তন, সংশোধন করতে হবে। আবার সংশোধনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে যারা আবেদনকারী তাদের কারণে ভুল হয়ে থাকে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে তথ্যগুলো আমি যখন লিখছি, তখন সঠিকভাবে লিখছি না।”

বিয়ের পরে অনেকের স্বামীর নাম পরিবর্তন করতে হয় উল্লেখ করে সিইসি বলেন, “কোনও কোনও দেশে এটা অপরিহার্য হিসেবে প্রয়োজন হয়। তাই স্বামীর নামটা অরিজিনালি থাকা উচিত। তাহলে বিড়ম্বনাটা হবে না।”

তিনি বলেন, “আমি জানি স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হয় না। তবে অস্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হয়। আমার হয়তো অস্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হয় না, কিন্তু বস্তিতে যারা থাকেন, ঘন ঘন অস্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে হয়, সে দিকটাও দেখতে হবে।”

জাতীয় পর্যায়ে এনআইডির গুরুত্ব এখন অপরিসীম– একথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, “বেওয়ারিশ লাশ শনাক্তকরণ, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে এনআইডির ব্যবহার হচ্ছে। এটা আমাদের আধুনিক ব্যবস্থাপনা সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনায় নিয়ে এসেছে। এটার প্রয়োজন ছিল।”

এনআইডি জালিয়াতি ঠেকাতে তৎপর হওয়ার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “এনআইডি নিয়ে যে ম্যানিপুলেশন হচ্ছে, প্রায়ই শুনি এ ওর নাম নিয়ে ভিন্ন পরিচয় ধারণ করে এনআইডি নিয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে সম্পৃক্ত হচ্ছে। অনেকে বাবার নাম পরিবর্তন করে চাচার নাম নিয়ে সহায় সম্পত্তি দখল করে ফেলছে। এই জিনিসগুলো গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করে একটা উপায় বের করতে হবে, যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।”

“এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আমরাও দোষী হয়ে যাচ্ছি,” বলেন তিনি।

এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয় উল্লেখ করে সিইসি যেকোনো আবেদনের ক্ষেত্রে সময় নির্ধারণের পক্ষে মত দেন। এতে করে প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হলে, কার কারণে হচ্ছে তা ধরা যাবে বলে মনে করেন তিনি।

কেউ কোনোভাবে বাংলাদেশে নাগরিক হলেই তাকে জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে হবে বলেও কর্মকর্তাদের স্মরণ করিয়ে দেন সিইসি।

তিনি বলেন, “কেউ যদি ১০টা দেশের নাগরিক হন এবং বাংলাদেশেরও নাগরিক হন, তাহলে তিনি এনআইডি পাবেন। দ্বৈত নাগরিকত্বের অজুহাতে কাউকে এনআইডি দেওয়া থেকে বাদ রাখা যাবে না। যদি সে কোনোভাবে বাংলাদেশের নাগরিক হয়, সনদের প্রয়োজন নেই, তাকে এনআইডি দিতে হবে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত