আগামী ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে সারাদেশে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। কোনো বিরতি ছাড়া চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিএনপি ও সমমনা ১৬টি দল এ ভোট বর্জন করেছে।
সিইসির মূল বক্তব্য
ভোটারদের চাপ দেওয়া হচ্ছে না, সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে।
ভোটবর্জনকারী দলগুলোর কারণে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
গণমাধ্যমকর্মীদের ভোট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা তুলে ধরার আহ্বান।
কূটনীতিকদের ব্যাখ্যা কেন
ঢাকায় বৃহস্পতিবার বিদেশি দূতাবাস, মিশন প্রধান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন সিইসি।
আসন্ন নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য সরকার বা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভোটারদের চাপ দেওয়া হচ্ছে কিনা, জানতে চেয়েছিলেন কূটনীতিকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি বলেন, “আমাদের ক্ষেত্রে ভোটারদের চাপ দেওয়ার কোনো কারণ নেই। যখনই নির্বাচন করি আমরা ভোটারদের কাছে একটা আবেদন রাখি যেটা আমাদের দায়িত্বের অংশ। সেটা হলো, আপনারা ভোট কেন্দ্রে এসে অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সেটা চাপ নয়, এটা হচ্ছে সচেতনতা।”
বরং ভোটবর্জনকারী দলগুলো যদি নিজেদের অবস্থানে অটল থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। বিষয়টি বিদেশি কূটনীতিকদের ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলেও জানান।
বিদেশি কূটনীতিকদের কেন নির্বাচন পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করা হলো, তা জানতে চান সাংবাদিকরা।
জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, “আমরাই তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। এর কারণ হচ্ছে, তারা সবসময় আমাদের নির্বাচনের বিষয়ে আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন, ইসিতে এসেছেন, আমাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। তাদের মূলত একটি প্রত্যাশা, আগামী নির্বাচনটা যেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ হয়। এ জিনিসটার ওপর তারা খুব জোর দিতে চান।”
এখন পর্যন্ত ভোট আয়োজনে কমিশন কোন অবস্থানে সে বিষয়গুলোই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসি কী পরিমাণ অভিযোগ পাচ্ছে, সেগুলোর বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাও জানতে চাওয়া হয়।
স্মার্ট অ্যাপ-গণমাধ্যম
স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্লিকেশনের বিষয়েও বিদেশি কূটনীতিকদের জানিয়েছেন সিইসি।
তিনি বলেন, “আমরা বলেছি, প্রতিটি কেন্দ্রে পোলিং চলাকালে দুই ঘণ্টা পরপর যে তথ্য পাওয়া যাবে তা আপলোড করা হবে। আপলোড করা হলে যেকোনো নাগরিক পৃথিবীর যেকোনো জায়গা দেশে বা বিদেশ থেকেও জানতে পারবেন ভোটের পরিমাণ কেমন।”
নির্বাচন আরও বেশি গ্রহণযোগ্য করতে এই অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, যেন সবাই আশ্বস্ত হতে পারেন। কোথায় কী হচ্ছে তা জানতে পারেন।
ভোটের খবর নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা তুলে ধরার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদের মূল দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান সিইসি। তিনি বলেন, “অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠভাবে ভোট প্রক্রিয়ার তথ্য সংগ্রহ করবেন। আমরা কিন্তু বাছবিচার করতে বলি নাই। শুধু ভালো জিনিস প্রচার করবেন, মন্দ জিনিস করবেন না, তা নয়। জনগণ যেন সঠিক বিচার করতে পারে।”