চাকরি হারানোর প্রস্তুতি সবসময়ই থাকে কোচদের। মাঠের পারফর্ম্যান্স খারাপ হলে সবার আগে কোপটা পড়ে তাদের ওপর। তবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে মাঠের পারফর্ম্যান্স নয় বাংলাদেশ কোচের চাকরি হারালেন মাঠের বাইরের কারণে।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলার সময় নাসুম আহমেদকে চড় মারার অভিযোগ উঠেছিল হাথুরুর বিপক্ষে। বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান বিশ্বকাপের পর হওয়া তদন্তে সেটা অস্বীকার করেছিলেন।
অস্বীকার করেছিলেন হাথুরুও। তবে ফারুক আহমেদ দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুনভাবে করা তদন্তে সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন সেই চড় কাণ্ডের। এর পাশাপাশি বোর্ডকে না জানিয়ে অতিরিক্ত ছুটি কাটানোয়, মেয়াদের চার মাস আগে বরখাস্ত করা হয়েছে এই লঙ্কানকে।
বরখাস্ত ও কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার পর তিনি আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করবেন বলেছেন। বিষয়টি পরবর্তীতে সংবাদ মাধ্যমের কাছে পরিষ্কার করবেন বলেও জানিয়েছেন বিদায়ী এই কোচ।
২০১৬ সালের মে মাসে প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে ফারুক আহমেদ পদত্যাগ করেছিলেন সে সময় কোচ থাকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে মতবিরোধে। হাথুরুসিংহে দ্বিতীয় মেয়াদে কোচ হয়ে আসার পরও তার সমালোচনায় মুখর ছিলেন ফারুক। এমনকি তিনি বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন হাথুরুকে না রাখার।
তাহলে কি ব্যক্তিগত অপছন্দের কারণেই ফারুক আহমেদ সরিয়ে দিলেন হাথুরুকে? এ নিয়ে দেশের একটি গণমাধ্যমকে হাথুরু জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার। তার মতে, খুব সহজেই বিষয়টা সমাধান করতে পারত বিসিবি। সেটি না করায় তার ইমেজ ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলেও দাবি করেছেন এই কোচ।