Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

৭ দিনে কত জনের চেয়ার গেল

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বদলে গেছে অনেক কিছু। ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আইন বিভাগ, প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ এমনকি সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ও বদলে গেছে।

এরমধ্যে কেউ কেউ পদত্যাগ করে সরে গেছেন, সেখানে নতুন ব্যক্তিরা এসেছে। আবার প্রশাসনিক নির্দেশে দায়িত্ব বদলের পাশাপাশি চাকরিচ্যুতও হয়েছেন অনেকে।

আর এই পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন; তাদের চাপেই দায়িত্বশীল অনেককে সরে যেতে হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা এই আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনার সরকার কঠোর নীতি নেওয়ার পর ব্যাপক সহিংসতায় কয়েকশ মানুষ প্রাণ হারায়। তাতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন গণআন্দোলনে রূপ নেওয়ায় পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের।    

৩৬ দিনের এই আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যাওয়ার পরপরই একের পর এক পরিবর্তন আসতে থাকে।

সংসদ বিলুপ্ত, মন্ত্রিসভাও লুপ্ত

৫ আগস্টই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জানান যে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। পরদিন তিনি সংসদও বিলুপ্ত করেন।

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২৩টি আসনে জয় পেয়েছিল। জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ১১টি আসন, স্বতন্ত্ররা পেয়েছিল ৬১টি আসন। এই সবাই আর সংসদ সদস্য নেই।

শেখ হাসিনার সরকারে মন্ত্রী ছিলেন ২৬ জন, প্রতিমন্ত্রী ছিলেন ১১ জন।

শেখ হাসিনা ছাড়া মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা ছিলেন- আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদ, দীপু মনি, আনিসুল হক, আসাদুজ্জামান খান কামাল, মুহাম্মদ ফারুক খান, সাবের হোসেন চৌধুরী, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, মো. আবদুর রহমান, সিমিন হোসেন রিমি, নাজমুল হাসান, নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, রুমানা আলী, জিল্লুল হাকিম, আহসানুল ইসলাম, মো. তাজুল ইসলাম, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ইয়াফেস ওসমান, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জাহিদ ফারুক, মহিব্বুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, ফরহাদ হোসেন, মো. ফরিদুল হক খান, আবদুস সালাম, মো. আবদুস শহীদ, শফিকুর রহমান চৌধুরী, সামন্ত লাল সেন, সাধন চন্দ্র মজুমদার, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

সরকারের পদত্যাগের কারণ তারা আর কেউ এখন আর মন্ত্রী নেই।

তাদের পরিবর্তে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে সরকার প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন ড. ইউনূস।

তার সঙ্গে উপদেষ্টা রয়েছেন ১৬ জন। তারা হলেন- সালেহ উদ্দিন আহমেদ, এ এফ হাসান আরিফ, এম সাখাওয়াত হোসেন, আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান শুভ্র, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ফরিদা আক্তার, শারমিন মুরশিদ, নূরজাহান বেগম, ফারুক–ই–আজম, সুপ্রদীপ চাকমা, আ ফ ম খালিদ হাসান, বিধান রঞ্জন রায়, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ।

বিচারাঙ্গন

প্রধান বিচারপতি কে এম ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। পদত্যাগ করেন আপিল বিভাগের আরও পাঁচ বিচারক। তারা হলেন- বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের পর নজিরবিহীন এক পদক্ষেপে হাইকোর্ট বিভাগ থেকে প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ পান সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তারপর হাইকোর্ট থেকে আরও চার বিচারককে আপিল বিভাগে নেওয়া হয়। তারা হলেন- বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন পদত্যাগ করেছেন। তার সঙ্গে পদত্যাগ করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলরাও।

নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল হয়েছেন মো. আসাদুজ্জামান। অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন মুহাম্মদ আবদুল জব্বার ভূঞা, মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও মোহাম্মদ অনীক আর হক।

নতুন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হয়েছেন নয়জন। তারা হলেন- আইনুন নাহার সিদ্দিকা, সুলতানা আক্তার, ফয়েজ আহম্মেদ, জহিরুল ইসলাম, রেদওয়ান আহম্মেদ রানজিব, মো. মঞ্জুর আলম, সামিমা সুলতানা, মহসিনা খাতুন ও মো. রফিকুল ইসলাম।

সেনাবাহিনী

ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার-এনটিএমসির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান চাকরি হারিয়েছেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলমের চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীমকে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ করা হয়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মজিবুর রহমানকে জিওসি আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরী হয়েছেন সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হককে কমান্ডেন্ট এনডিসি করা হয়েছে। মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমানকে করা হয়েছে এনটিএমসির মহাপরিচালক।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের পদে থাকা এম সোহায়েলকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. হোসাইন আল মোরশেদকে সরিয়ে সেখানে বসানো হয়েছে মেজর জেনারেল আবু মোহাম্মদ সরোয়ার ফরিদকে।

প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) নতুন মহাপরিচালক হয়েছেন মেজর জেনারেল মো. ফয়জুর রহমান। সেখানে আগে থাকা মেজর জেনারেল হামিদুল হককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদকে।

পুলিশ

পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ে এতদিন যারা ছিলেন, তাদের সবাইকে বদলে ফেলা হয়েছে।

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন চাকরিচ্যুত হয়েছেন। অতিরিক্ত আইজি মনিরুল ইসলাম ও হাবিবর রহমানও চাকরি হারিয়েছেন।

পুলিশ প্রধান হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন ময়নুল ইসলাম। হাবিব চাকরিচ্যুত হওয়ায় ঢাকা মহানগর পুলিশের নতুন কমিশনার হয়েছেন মাইনুল হাসান।

র‌্যাবের মহাপরিচালক মো. হারুন-অর-রশিদকে সরিয়ে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত আইজি এ কে এম শহিদুর রহমানকে।

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) নেতৃত্বে থাকা মনিরুলের চাকরিচ্যুতিতে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিআইজি মো. শাহ আলমকে।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মোহাম্মদ আলী মিয়াকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত আইজি মো. তওফিক মাহবুব চৌধুরীকে।

রংপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান ও রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আবদুল বাতেনকে চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও পুলিশের আরও বহু পদে পরিবর্তন এসেছে।

প্রশাসন

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের দায়িত্ব পালন করা মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাংগীর আলমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

চুক্তিতে থাকা আরও ১০ সচিবের নিয়োগ বাতিল হয়েছে। তারা হলেন- অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিম, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নুরী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, পরিকল্পনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সত্যজিৎ কর্মকার, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম ওয়াহিদা আক্তার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সদস্য মো. খাইরুল ইসলাম।

মুনিম চাকরি হারানোয় এনবিআর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আব্দুর রহমান খান।

পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়া কৃষি সচিব হয়েছেন। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মোকাব্বির হোসেনকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

পদত্যাগ করেছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাহিদুল ইসলাম ভূঞাকে ওএসডি করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব পদে নিয়োগ পেয়েছেন ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির বাংলাদেশ ব্যুরোপ্রধান শফিকুল আলম। প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব পদে নিয়োগ পেয়েছেন অপূর্ব জাহাঙ্গীর। তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ভাস্তে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক পদে নিয়োগ পেয়েছেন লামিয়া মোরশেদ। আখতার হোসেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে তাকে এই পদে আনা হয়েছে। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের স্নাতক লামিয়া ইউনূস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন।

সাতজন রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় ফেরার নির্দেশও দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

তারা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, রাশিয়ায় রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান, সৌদি আরবে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারি, জাপানের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ, জার্মানির রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর, মালেতে নিযুক্ত হাইকমিশনার এস এম আবুল কালাম আজাদ।

পাশাপাশি নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের তৃতীয় সচিব আসিব উদ্দিন আহমেদ, অটোয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের কাউন্সেলর অপর্না রানী পাল ও মিথিলা ফারজানা, ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের কাউন্সেলর আরিফা রহমান রুমা, ওয়াশিংটন ডিসির প্রথম সচিব অহিদুজ্জামান নূরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।

ব্যাংক-পুঁজিবাজার

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন ডেপুটি গভর্নর কাজী ছায়েদুর রহমান, খুরশীদ আলম, মাসুদ বিশ্বাস। নীতি উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাসেরও পদত্যাগ করেছেন।

গভর্নর পদে নিয়োগ পেয়েছেন অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর।

রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী সানাউল হককে সরিয়ে সাবেক ডেপুটি গভর্নর নজরুল হুদাকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

এরপর বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে মাসরুর রিয়াজকে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন হলেও তিনি থাকবেন কি না, তা এখনও অস্পষ্ট।

শিক্ষাঙ্গন

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ পদত্যাগ করেছেন। ইউজিসি সচিব ফেরদৌস জামানকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যসহ বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা পদত্যাগ করেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবু তাহের পদত্যাগ করেছেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মিহির রঞ্জন হালদার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সোবহান মিয়া, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়েরর উপাচার্য অধ্যাপক এ এফ এম আবদুল মঈন, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হাসিবুর রশীদ, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুর রশীদ পদত্যাগ করেছেন।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হারুন অর রশীদ আশকারী এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী পদত্যাগ করেছেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত