ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় করা হত্যাচেষ্টা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা মো. মুক্তাদির হোসেন মুক্তকে দুই দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
মুক্তাদির নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনটির কেন্দ্রীয় উপ-সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার মামলা রয়েছে।
সোমবার শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. শরীফুর রহমানের আদালত ছাত্রলীগের এই নেতার মামলায় এই আদেশ দেন।
গত ২১ ডিসেম্বর মুক্তকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে আটক করে পুলিশে দেয় ছাত্র-জনতা।
পরদিন তাকে আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের উপপরিদর্শক মো. ইরফান খান। তবে মূল নথি না থাকায় মুক্তকে কারাগারে পাঠিয়ে ৩০ ডিসেম্বর রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধীতা করে। শুনানি শেষে আদালত তার এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। এতে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
এ ঘটনায় গত ২৮ অক্টোবর হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহিরুল হক হলের শিক্ষার্থী আরমান হোসাইন। মামলায় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ ২২০ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়।
