সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে চট্টগ্রামে সংঘাতে নিহত তিনজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে মুরাদপুর এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষের সময় তারা মারা যান।
তিনটি লাশই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল মর্গে ছিল। ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার ভোররাতে লাশগুলো স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আলাউদ্দিন তালুকদার।
তিনি বলেন, পরে পুলিশি পাহারায় লাশ নিয়ে প্রত্যেকেই নিজ গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন।
নিহত তিনজনের পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাকিব হাসান।
নিহতরা হলেন- মোহাম্মদ ফারুক (৩২), ওয়াসিম আকরাম (২২) ও ফয়সাল আহমেদ (২০)।
ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায়। চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি।
ফারুকের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। চট্টগ্রামের লালখানবাজারে তিনি ভাড়ায় থাকতেন পরিবার নিয়ে। মুরাদপুর এলাকায় ফার্নিচারের দোকানের কর্মচারী ছিলেন তিনি।
ফয়সাল চট্টগ্রামের ওমর গণি এমইএস কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি বরিশালে। চট্টগ্রামে পতেঙ্গা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।
মঙ্গলবার সংঘর্ষের পর তাদের তিনজনকে মুরাদপুর থেকে আনা হয়েছিল চট্টগ্রাম মেডিকেলে। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন তখন বলেছিলেন, ফারুক ও ফয়সাল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ওয়াসিম হামলার শিকার হয়েছেন।
সংঘর্ষে আহত অন্তত ৮০ জনকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে মেডিকেলে আনা হয়। বর্তমানে এখানে ৩০ জনের বেশি ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে সাত-আটজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক।