চট্টগ্রামে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে নেমে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার বিকালে ষোলশহর মোড়ে জড়ো হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান তুললে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে।
এতে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে জড়ো হয়ে ষোলশহর মোড়ে ফিরে সেখানেই অবস্থান নেয়। পুলিশি বেষ্টনির মধ্যেই সেখানে সমাবেশ করে তারা।
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের রায় হাইকোর্ট দেওয়ার পর এই মাসের শুরু থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়।
শুরুতে ঢাকার শাহবাগে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি চলছিল, এখন বিভিন্ন জেলায়ও সড়কে নেমে বিক্ষোভ করছে কোটাবিরোধীরা।
বুধবার দিনভর সড়কে অবস্থান নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা আসে ঢাকা থেকে।
সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে প্রথমে নগরীর টাইগারপাস মোড়ে জড়ো হয় চট্টগ্রামের আন্দোলনকারীরা।
তারা ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। সেখানে অন্তত আধা ঘণ্টা পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাক-বিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং সড়ক অবরোধ না করার আহবান জানায়। তখন শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে সরে মিছিল নিয়ে চার কিলোমিটার দুরে ষোলশহর দুই নম্বর গেইটে গিয়ে জড়ো হয়।
সেখানে সড়কে বসে পড়ে শখানেক বিক্ষোভকারী। তারা কোটা সংস্কারের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিল।
তাতে যানজট তৈরি হয়। মুরাদপুর থেকে জিইসিগামী গাড়ি এবং চকবাজার থেকে বায়েজিদ বোস্তামি সড়কমুখী গাড়ি চলাচল থমকে যায়। তবে এই মোড়ের ওপর দিকে আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার থাকায় বিকল্প পথেই গাড়ি চলাচল করছে।
আন্দোলনকারীরা বিকাল ৪টায় যখন টাইগারপাস মোড়ে গাড়ি চলাচল আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, তখন চারদিক থেকে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছিল। কারণ এই মোড় দিয়ে চট্টগ্রাম শহরের উত্তর-দক্ষিণ এবং পূর্ব-পশ্চিমমুখী গাড়ি চলাচল করে।
এর আগে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বটতলী রেলস্টেশনে গিয়ে ট্রেন চলাচল আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেখানে ব্যর্থ হওয়ার পর টাইগারপাস মোড়ে আসে। সেখান থেকে যায় ষোলশহরে।
সেখানে পুলিশ লাঠি চালানোর পর আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিয়ে থাকলেও পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও বক্তব্য কেউই দেয়নি। রাত ৮টার দিকে সড়ক ছেড়ে যায় তারা।