সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদসহ এই বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তার সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠার মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এওএম) কামরুল আহসানের ১১ কোটি টাকার সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত।
এডিসি কামরুল ও তার স্ত্রী সায়মা বেগমের এই সম্পদ অবৈধভাবে অর্জিত বলে অভিযোগ তুলেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রতিষ্ঠানটির আবেদনেই মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ জেবুননেছা পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, দুদকের অনুসন্ধানে পুলিশ কর্মকর্তা কামরুল হাসানের ৯ কোটি ৭৩ লাখ ২২ হাজার ৪৪ টাকার এবং তার স্ত্রী সায়মা বেগমের ১ কোটি ৬২ লাখ ৮৫ হাজার ১৮৮ টাকার সম্পদের কোনও বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।
“অনুসন্ধানে এই পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর নামে একাধিক জমি, ফ্ল্যাট, যৌথ মালিকনাধীন ভবনে বিনিয়োগসহ বিভিন্ন স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য মিলেছে, যা তার আয়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।”
এর আগে গত ৪ জুলাই চট্টগ্রামে প্রায় ৬২ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবুল হাশেম ও তার স্ত্রী তাহেরিনা বেগমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক। তবে সেই মামলায় সম্পত্তি ক্রোক বা জব্দের আদেশ হয়নি।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীরের সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর দুদক তারও অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এরই মধ্যে পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তার সম্পদের তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে সংবাদমাধ্যমে।
এধরনের সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সংগঠন পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আপত্তি তোলার পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন তারও সমালোচনা করেছে।