কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর সড়কগুলোতে চলাচলে কোনও বিঘ্ন ছিল না। তবে সড়কে গাড়ি অনেক কম দেখা যাচ্ছে।
সকাল থেকে নগরীর েভতরে আন্দোলনকারীদের দেখা না মিললেও কর্ণফুলী নদীর ওপর শাহ আমানত সেতুর উত্তর প্রান্তে অবস্থান নিয়েছে একদল শিক্ষার্থী। তারা কক্সবাজার, বান্দরবান থেকে চট্টগ্রাম শহরে ঢোকা আটকে দিচ্ছে।
সকাল ১০টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী এবং সরকারদলীয় কোনও সংগঠনের মিছিল-সমাবেশ দেখা যায়নি নগরীতে। অফিস-আদালত, দোকান-পাট খুলেছে, কারখানাও সচল হয়েছে।
চট্টগ্রাম শহরজুড়ে বিজিবি-পুলিশের যৌথ টহল দেখা গেছে। তিন দিন ধরে চলা হতাহত-সংঘর্ষের স্থান মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, ষোলশহর এলাকায় কড়া নজর রেখেছে আইন-শৃ্ঙ্খলা বাহিনী।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম শহরের প্রবেশমুখ শাহ আমানত সেতুর উত্তর প্রান্তে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারী ৫০ জনের একটি দল। তারা সড়কে বসে পড়ায় আন্তঃজেলা বাস বিশেষ করে দক্ষিণ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পার্বত্য বান্দরবান থেকে আসা গাড়ি চট্টগ্রাম শহরে ঢুকতে পারছে না।
শাহ আমানত সেতু এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের অবস্থানের বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের এডিসি আশরাফুল করিম বলেন, “শাহ আমানত সেতু এলাকায় ছাত্রশিবিরের কর্মীদের সংঘবদ্ধ হওয়ার তথ্য আমরা আগে থেকেই পেয়েছি। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ডেকেছে।
দুই সপ্তাহ ধরে চলা এই আন্দোলনে গত মঙ্গলবার দেশজুড়ে সহিংসতা দেখা দেয়। তাতে ছয়জন নিহত হয়েছে, যার তিনজনই নিহত হয় চট্টগ্রামে।
এই আন্দোলন েথকে সহিংসতা হলে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে সরকার সমর্থক সংগঠনগুলো। তবে বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরও রাজপথে দেখা যায়নি।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ‘মুক্তিযোদ্ধা-জনতা সমাবেশ’ ডেকেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড। যেখানে প্রধান অতিথি হিসাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের থাকার কথা রয়েছে।
কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিএনপি সমর্থন দিেলও দলটির কোনও তৎপরতা দেখা যায়নি।