কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতা সিয়াম রহমান ও আনোয়ার হোসেন নাঈমকে দুই দিন করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
মামলায় ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভাকে পুলিশ হেফাজতে দুই দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মাসুমা রহমানের আদালত এসব আদেশ দেয়।
দুই দিনের রিমান্ড হয়েছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য সেন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক মুসলিম হল সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম।
সিয়াম ও নাঈমকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান জোনাল টিমের ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মাসুদ সরদার। আসামি পক্ষের আইনজীবী তাদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম তাদের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।
বুধবারই সিয়ামকে ঢাকার আদাবর ও নাঈমকে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে গত রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানী থেকে রিভাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন ১৬ ডিসেম্বর তাকে দুই দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় আদালত।
বুধবার রিভাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির উপপরিদর্শক মো. মাসুদ সরদার। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মাসুমা রহমানের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
মামলায় বলা হয়, কোটা সংস্কার দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা করে। এতে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।
এ ঘটনায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী আবু সায়াদ বিন মাহিন সরকার। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়া ৩৯০ আসামির নাম উল্লেখ করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি এক হাজার।