Beta
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫

হাজারো কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হলো ছায়ানটের ডিজিটাল যাত্রা

ছবি ছায়ানটের ফেইসবুক পেইজ থেকে নেয়া
ছবি ছায়ানটের ফেইসবুক পেইজ থেকে নেয়া
[publishpress_authors_box]

বিজয়ের মাসের প্রথম দিন হাজারো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত প্রচারের মধ্য দিয়ে ছায়ানট যাত্রা শুরু করলো ডিজিটাল প্লাটফর্মে। ডিসেম্বরের প্রতিদিন সকালে একটি করে গান প্রচার করবে সাংস্কৃতিক শিক্ষায়তন ছায়ানট।

রোববার প্রথম দিন প্রকাশিত হল জাতীয় সংগীত। সম্প্রতি তিন হাজারের বেশি শিল্পী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সংগঠক একসঙ্গে গেয়েছেন জাতীয় সংগীত ও দেশের গান, যার দৃশ্যধারণ হয়েছে রায়েরবাজার বধ্যভূমির সামনে।

ছায়নটের শিল্পীরা ছাড়াও নালন্দা উচ্চবিদ্যালয়, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, কণ্ঠশীলন ও ব্রতচারীর সহযোগিতায় হাজারো কন্ঠে জাতীয় সংগীতসহ দেশের গান গাওয়ার এ আয়োজন সফল হয়। গান প্রকাশের এ উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জাগরণী’।

ছায়ানট
ছবি ছায়ানটের ফেইসবুক পেইজ থেকে নেয়া

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা বলেন, “বাঙালির বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের পয়লা দিন থেকে প্রতি সকালে একযোগে ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স ও ইউটিউব চ্যানেলে ছায়ানট একটি করে কন্টেন্ট প্রকাশ করবে।

তিনি বলেন, “প্রতিদিন সকাল ৯টায় নিয়মিত নতুন কন্টেন্ট প্রকাশ হবে। ১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রচার করার মত কন্টেন্ট আমরা প্রস্তুত করেছি। পুরো বিজয়ের মাসেই থাকবে দেশের গান। পরে জানুয়ারি থেকে অন্যান্য কন্টেন্টও প্রচার হবে। ৩৬৫ দিনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থাকবে ছায়ানট। সঙ্গীত বিষয়ক পাঠদান, গুণি ব্যক্তিত্বদের নিয়ে কন্টেন্ট প্রচার করবে ছায়ানট।”

সবাইকে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়ে লিসা বলেন, “ছায়ানট বিশ্বাস করে, মানবজীবনের সকল আঁধার থেকেই জাগরণের প্রয়োজন। আমরা সৎ- সুন্দর আলোর অভিযাত্রী। সকলকে আহ্বান জানাই-জেগে উঠি জেগে থাকি, দেশে টানে জীবনের টানে, প্রাণের গানে। এই ভাবনা থেকে আয়োজনটির নাম জাগরণী।”

বাঙালিকে আপন সংস্কৃতি ও দেশীয় বৈশিষ্ট্যে স্বাধীনসত্তায় বিকশিত হতে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে ১৯৬১ সালে ছায়ানটের জন্ম। সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা করলেও পরবর্তীতে সংস্কৃতি ও শিক্ষাকেন্দ্রিক নানামুখী কার্যক্রমে এ সংগঠন বিস্তার লাভ করেছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত