চার দিনের সরকারি সফরে চীনের হাইনানে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইট বুধবার বাংলাদেশ সময় ৪টা ১৫ মিনিটে হাইনানের কিউনহায় বাও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বেইজিংয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম এবং হাইনান প্রদেশের ভাইস গভর্নর বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা জানান।
এর আগে অধ্যাপক ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটটি দুপুর ১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি হচ্ছে অধ্যাপক ইউনূসের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।
দ্বিপক্ষীয় সফরে গত বছরের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে চীন সফরে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি শিয়াংয়ের আমন্ত্রণে তার চার দিনের সফর ছিল। তবে সফর সংক্ষিপ্ত করে এক দিন আগেই ফিরে আসেন তিনি।
ওই বছরের জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়েছিল। রক্তাক্ত অধ্যায় পেরিয়ে সেই আন্দোলন অভ্যুত্থানে রূপ নিলে পরের মাসেই পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের, তিনি পালিয়ে আশ্রয় নেন ভারতে।
এরপর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন নোবেলজয়ী ড. ইউনূস। তিনি এরপর যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড ও মিসর সফরে গেলেও তা দ্বিপক্ষীয় সফর ছিল না।
বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার চীনের এই সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠকের কথা রয়েছে।
সফরে বাণিজ্য, বহুপাক্ষিকতাসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার জন্য ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত চীনভিত্তিক বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ায় যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, সফরে চীনের বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সিইওদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি।
এই সফরের মধ্য দিয়ে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক নাজুক হয়ে পড়ার মধ্যে ড. ইউনূসের বেইজিং সফরের দিকে আন্তর্জাতিক মহলও দৃষ্টি রাখছে।