Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫

নির্বাচন নিয়ে দু’রকম বক্তব্যে বিভ্রান্ত বিএনপি 

ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
[publishpress_authors_box]

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে, তার সুনির্দিষ্ট কোনও তারিখ এখনও সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়নি। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বারবারই বলা হয়েছে, নির্বাচনের তারিখ ঠিক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জানালেন২০২৫ সালের শেষের দিকে বা ২০২৬ সালের প্রথম দিকে নির্বাচন হবে। পরদিন তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বললেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে বলে মানুষ আশা করতে পারে।”

সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া এই দুরকম বক্তব্যে বিভ্রান্ত বিএনপি। বুধবার রাতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনকেন্দ্রিক বক্তব্য নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের দু’ধরনের বক্তব্য নিয়ে হতাশার কথা জানালেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম, প্রধান উপদেষ্টা সুনির্দিষ্ট একটা সময়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিয়ে দেবেন। তিনি সেটা করেননি। এটা আমাদের কিছুটা হতাশ করেছে। একই সঙ্গে জাতিকেও কিছুটা হতাশ করেছে।”

নির্বাচন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে একেকবার একেক ধরনের ঘোষণার সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ২০২৫ সালের শেষের দিকে বা ২০২৬ সালের প্রথম দিকে নির্বাচন হবে। তারপর তার প্রেস সচিব বলেছেন, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। প্রেস সচিবের একথা প্রধান উপদেষ্টার কথার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমরা বুঝতে পারছি না, কোনটা সঠিক।”

নির্বাচন দেরিতে নিয়ে যাওয়া যৌক্তিক কি না বা এর মাধ্যমে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে কি না-এ প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “কোনোভাবেই যৌক্তিক মনে হচ্ছে না। আমরা বলেছি, আমরা হতাশ হয়েছি।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচন সংক্রান্ত বক্তব্য অস্পষ্ট। আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশন যেহেতু গঠন করা হয়ে গেছে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন পরিচালনার প্রস্তুতি নিতে সে ধরনের কোনও সমস্যা নেই; অতি দ্রুতই সেটা সম্ভব।”

স্থায়ী কমিটির বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “দলের স্থায়ী কমিটি মনে করে, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়ের কথা উল্লেখ করা হলেও নির্বাচনের রোডম্যাপ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তার ওপর তার এবং প্রেস সচিবের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী।”

এই পরস্পরবিরোধী বক্তব্য আরও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে বলে মনে করেন ফখরুল। তিনি বলেন, “জনগণ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রত্যাশা করে। তাছাড়া রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা উচিত বলেও মনে করে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত