Beta
শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি : সালাহউদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি
[publishpress_authors_box]

আগামী বছরের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার যে ‘প্রতিশ্রুতি’ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দিয়েছেন, তাতে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

বাসস জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা নিয়ে জোরালো অবস্থান নিয়েছে দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিও জানিয়েছে তারা।

প্রধান উপদেষ্টা বারবার ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলে আসছিলেন। সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ নিয়ে তার বেশ কয়েক দফা আলোচনাও হয়।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আগামী বছরের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন সংক্রান্ত চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আমি আজ দেশবাসীর কাছে ঘোষণা করছি যে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত সময়ে আপনাদের কাছে নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রদান করবে।”

বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। আমরা রাত ৯টায় স্ট্যান্ডিং কমিটি জরুরি বৈঠকে বসছি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক হবে। সেখানে বিষয়টি আলোচনা হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা আমাদের যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে পরে বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া জানাব।”

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়া দীর্ঘ ভাষণে অনেক কিছু বলেছেন। সরকারের কৃতিত্ব, কর্মকাণ্ড এবং ভবিষ্যতে কী করতে চান ইত্যাদি। এর ফাঁকে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

নির্বাচনের তারিখে বিলম্বে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চাশের বেশি দল ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল। আমরা যৌক্তিকভাবে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমাদের বক্তব্য সবসময় যুক্তি সহকারে উপস্থাপন করেছি।

“সে বিষয়টি আমলে না নিয়ে এমন সময়ে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছেন, যে সময়ে পাবলিক পরীক্ষা থাকে, আবহাওয়া ঠিক থাকে না। এছাড়াও আমাদের জানামতে ফেব্রুয়ারির ১৬, ১৭ বা ১৮ তারিখের দিকে রমজান মাস শুরু হবে।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, এপ্রিলের প্রথমার্ধে যদি নির্বাচন করতে হয়, তাহলে (৪৫ দিন যে সময়সীমা লাগে তফশিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত) রমজানের মধ্যেই ক্যাম্পেইন করতে হবে। এটা একটা অযৌক্তিক ধারণা।

ডিসেম্বর বা জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলে তা গ্রহণযোগ্য হতে পারতো উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, খুব বেশি দেরি করতে চাইলে ডিসেম্বর বা জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হলেও সেটি মেনে নেওয়ার মতো বিষয় হতো।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত