Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ওবায়দুল হাসান : সেই আন্দোলনেই নতি স্বীকার

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। ফাইল ছবি
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। ফাইল ছবি
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

কোটা সংস্কারের মামলার শুনানিতে চড়া গলায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছিলেন, আন্দোলন দিয়ে রায় বদলানো যায় না।

সেই কথা বলার পর কাঁটায় কাঁটায় এক মাস পরই রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে পদত্যাগ করে বিদায় নিলেন তিনি।

শনিবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতিকে নিয়ে ফুল কোর্ট সভা ডেকেও স্থগিত করতে হয়েছিল তাকে।

এরপরও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার মধ্যে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জনপ্রত্যাশা বুঝে প্রধান বিচারপতি সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

এরপর দুপুরে আন্দোলনকারীদের কাছে বার্তা আসে, প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সাতজন বিচারক পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আপিল বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে এই খবর পেয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা হাইকোর্ট ছাড়েন।

তারপর প্রথম আলো জানায়, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে কথা বলে নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমি উনাকে (আইন উপদেষ্টা) জানিয়েছি নীতিগতভাবে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজকের মধ্যে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে আশা করি।”

রাষ্ট্রের তিনটি মূল অঙ্গের একটির নেতৃত্বদাতা প্রধান বিচারপতিকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি; তাই তাকে রাষ্ট্রপতির কাছেই পদত্যাগপত্র দিতে হবে।

বেলা আড়াইটার দিকে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন বলে প্রথম আলোর প্রতিবেদনে জানানো হয়।

আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর রাজপথে জনতার উল্লাসের মধ্যে ঢাকার কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাড়িও আক্রান্ত হয়েছিল।
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার খবর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ৫ আগস্টই জাতির উদ্দেশে ভাষণে জানিয়েছিলেন। তা্র তিন দিন পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের শপথ পড়ান তিনি।

যেহেতু সংবিধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয়ে কিছু বলা নেই, তা এই সরকারকে শপথ পড়ানোর আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামত নিয়েছিলেন রাষ্ট্রপ্রধান। এটাই ছিল প্রধান বিচারপতি হিসাবে ওবায়দুল হাসানের শেষ কাজ।

বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে গত বছরের সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ওবায়দুল হাসান। বয়স অনুযায়ী, ২০২৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তার দায়িত্ব পালনের সুযোগ থাকলেও দেড় বছর আগেই বিদায় নিতে হলো তাকে।

দেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকেও পদত্যাগ করতে হয়েছিল। তবে ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের চাপে তিনি পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছিলেন। তবে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে পদত্যাগ হলো বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আদালত অভিমুখে যাত্রা কর্মসূচির আগে গত ৩১ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় পুলিশের পাহারা জোরদার করা হয়।

‘আন্দোলন দিয়ে রায় বদলানো যায় না’

যে আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পত হয়েছে, সেই কোটা সংস্কারের বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। তার শুনানি নিয়েছিল আপিল বিভাগ, বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে।

সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করে গত ৫ জুন হাইকোর্ট রায় দিলে সরকার তার বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করে। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীরা ১ জুলাই রাজপথে আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে।

গত ১০ জুলাই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢাকার সড়ক নিশ্চল হয়ে থাকার মধ্যেই আপিল বিভাগে শুনানি হয়েছিল রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের।

সেদিন হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারির নির্দেশ দিলেও শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছিলেন, রাজপথে আন্দোলন করে আদালতের রায় পরিবর্তন করা যাবে না।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরিয়ে নিতে সরকারের দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান রেখে তিনি সেদিন বলেছিলেন, “আমরা তো এই সমাজের মানুষ। কিছু কথা বলতে হয়। সেটা হচ্ছে যে, হাইকোর্টে একটা রায় হয়ে গেছে। আমাদের যে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা যে আন্দোলন করছে, তাদের মনে একটা বিবাদ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা বের করার পথ যেটা মনে করছে, তারা সেটাই করছে। তারা রাস্তায় নেমেছে। তারা যেটা করেছে, তা সমর্থন করার মতো না। যাই হোক তারা আমাদেরই ছেলে মেয়ে।

“আমি প্রথম থেকে বলেছিলাম, রাস্তায় স্লোগান দিয়ে রায় পরিবর্তন হয় না। এটা আজকে না। আমি আরও একটি মামলায় ট্রাইব্যুনালে (যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল) থাকতে বলেছিলাম। রাস্তায় স্লোগান দিয়ে রায় পরিবর্তন করতে পারবেন না। এর জন্য সঠিক পদক্ষেপ নেন।”

হাইকোর্ট বিভাগের রায় নিয়ে তিনি বলেছিলেন, “সেটা সঠিক হয়েছে, কি সঠিক হয়নি- সেটা দেখার অধিকারটা কার? সেটা দেখার একমাত্র অধিকার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের। আপিল বিভাগ ছাড়া কোনোভাবেই সম্ভব না। এই কথাটা এই বাচ্চাদের কেউ বলেন না কেন?”

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন জানিয়ে শুনানি ৭ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি রেখেছিলেন তিনি।

কিন্তু এদিকে আন্দোলন ক্রমেই তীব্র হতে থাকে। ১৫ জুলাই তা সংঘাতে গড়ায়। এরপর কয়েকদিনে সারাদেশে সংঘাতে শতাধিক মানুষ নিহত হলে সরকার কারফিউ জারি করে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে।

চাপের মুখে সরকার আদালতের রায় দ্রুত পাওয়ার উদ্যোগ নেয়। পরিস্থিতি দেখে আপিল বিভাগও ৭ আগস্টের শুনানি ২১ জুলাইয়ে এগিয়ে আনে। সেই রায়ে চাকরিতে কোটা ৫৬ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।

কিন্তু বহু প্রাণহানিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তখন গণআন্দোলনে গড়িয়েছে। সরকার কঠোর হাতে দমনের দিকে এগোলে সংঘাত বাড়তে থাকে। আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ৩ আগস্ট সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তার দুই দিনের মাথায় সরকারের পতন ঘটে, দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।

মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি চলাকালে সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ৪ শিক্ষার্থীকে আটকের প্রতিবাদে পুলিশের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে যান এই শিক্ষার্থী। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
গত ৩১ জুলাই মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি চলাকালে সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ৪ শিক্ষার্থীকে আটকের প্রতিবাদে পুলিশের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে যান এই শিক্ষার্থী। ছবি : সকাল সন্ধ্যা

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে প্রধান বিচারপতি

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর মেয়াদ অবসানের পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হয়েছিলেন ওবায়দুল হাসান।

বিধান অনুযায়ী, বিচারপতিরা ৬৭ বছর বয়স পর্যন্ত দায়িত্বে থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে তার অবসরের বয়স ছিল ২০২৬ সালের ১১ জানুয়ারি।

ওবায়দুল হাসানের জন্ম ১৯৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি, নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জের ছয়াশী গ্রামে। তার বাবা আখলাকুল হোসাইন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, তিনি গণপরিষদের সদস্য ছিলেন।

ওবায়দুল হাসানের ভাই সাজ্জাদুল হাসান প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব ছিলেন, যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা। সদ্য বিলুপ্ত সংসদে নেত্রকোণা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যও ছিলেন তিনি।

ওবায়দুল হাসান পড়াশোনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, অর্থনীতিতে। পরে তিনি এলএলবি করে আইন পেশা বেছে নেন। ১৯৮৬ সালে তিনি আইনজীবী হিসাবে কাজ শুরু করেন। ১৯৮৮ সালে হাই কোর্ট বিভাগের এবং ২০০৫ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি।

এক সময়ের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওবায়দুল হাসান ২০০৯ সালের ৩০ জুন হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসাবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর স্থায়ী হন তিনি।

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে ২০১২ সালে সেই আদালতে বিচারক হিসাবে যোগ দেন দেন ওবায়দুল হাসান।

ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ছিলেন। ওই সময়ে ট্রাইব্যুনাল থেকে ১১টি যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় আসে।

২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারক হিসাবে কাজ শুরু করেন তিনি। গত নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি গঠিত সার্চ কমিটির প্রধান ছিলেন ওবায়দুল হাসান।

প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আন্দোলনকারীরা শনিবার বিক্ষোভ করে। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আন্দোলনকারীরা শনিবার বিক্ষোভ করে। ছবি : সকাল সন্ধ্যা

পদত্যাগের দিন

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরে নিয়োগ পাওয়া শীর্ষ ব্যক্তিদের অনেকে পদত্যাগ করেন, অনেককে আবার অব্যাহতি দেওয়া হয়। তার মধ্যে প্রধান বিচারপতিসহ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিও ওঠে।

শনিবার সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারকদের নিয়ে ফুল কোর্ট সভা ডাকেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। সকাল সাড়ে ১০টায় ভার্চুয়ালি এই সভা হওয়ার কথা ছিল।

বিষয়টি নিয়ে শনিবার সকাল ৯টার দিকে ফেইসবুকে পোস্ট দেন সদ্য গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। এই সভা বন্ধ করতে প্রধান বিচারপতির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আসিফ মাহমুদ লেখেন বলেন, “ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট ও নানা অপকর্মে জড়িত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরকারের সাথে কোনপ্রকার আলোচনা না করে ফুল কোর্ট মিটিং ডেকেছে। পরাজিত শক্তির যেকোনো প্রকার ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। আইনজীবীরা ইতোমধ্যে এর প্রতিবাদে জড়ো হয়েছেন।”

প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “অনতিবিলম্বে বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করুন এবং ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করুন।”

আসিফ মাহমুদ ফেইসবুকে পোস্ট দেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সমবেত হতে থাকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

তা দেখে সকাল সোয়া ১০টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ফুল কোর্ট সভা বন্ধ করা হয়েছে।

তারপরও হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে বাড়তে থাকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা।

এর মধ্যে সকাল ১১টার দিকে আসিফ মাহমুদ ফেইসবুকে আরেকটি পোস্ট দেন। এতে তিনি লেখেন, “ফ্যাসিবাদের দালালরা এখনও ওঁৎ পেতে আছে ছাত্র-জনতার বিজয় ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে। শান্তিপূর্ণভাবে হাইকোর্ট ঘেরাও করছে অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতা। এখনও সময় আছে শান্তিপূর্ণ পদত্যাগের। অন্যথায় আমরা কঠোর হতে বাধ্য হব।”

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছে, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে এই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবে তারা।

এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফেইসবুকে আরেকটি পোস্ট দেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, যেখানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারকের পদত্যাগ দাবি করেন।

তিনি লেখেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা কর্তৃক নিয়োগকৃত প্রধান বিচারপতিসহ অ্যাপিলেট ডিভিশনের ৭ জন বিচারপতির পদত্যাগ চাচ্ছি আমরা।”

শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, গণআন্দোলন থেকে পদত্যাগের দাবি উঠলে সেই দাবিকে কতটা সম্মান দেখাতে হয়, তা প্রধান বিচারপতি বুঝবেন বলেই তিনি প্রত্যাশা করেন।

পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে পদত্যাগ করার আহ্বান আসার পর প্রধান বিচারপতির কী করা উচিৎ, তা তার ওপরই ছেড়ে দেওয়ার কথাও জানান তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত